হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, নগদ সহায়তা পেতে হলে যে দেশে মাছ রপ্তানি করা হবে, সেখান থেকেই মূল্য প্রত্যাবাসন করতে হবে। তবে অন্য কোনো দেশ থেকে অর্থ ফেরত এলে তা অবশ্যই রপ্তানি আদেশ প্রদানকারী বা তার সঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হতে হবে। এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে অর্থ ফেরত এলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জাহাজীকৃত পণ্যের বিপরীতে নগদ সহায়তা কার্যকর হবে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নগদ সহায়তার জন্য আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে হবে। তবে গভীর সমুদ্র থেকে আহরিত ও প্রক্রিয়াজাত হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে হবে।
এ ছাড়া নগদ সহায়তার আবেদন করার সময় অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারককে অবশ্যই মৎস্য অধিদপ্তরের অনুমোদিত লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান হতে হবে।

