বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে বাংলাদেশ রপ্তানি করছে মাত্র ৮৫০ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের হালাল পণ্য। অধিকাংশ পণ্যই কৃষিভিত্তিক। কার্যকর হালাল ইকোসিস্টেম ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সার্টিফিকেশন বোর্ডের অভাবের কারণে দেশের সম্ভাবনাময় এই খাত কাঙ্ক্ষিতভাবে বিকশিত হচ্ছে না।
আজ (শনিবার) ডিসিসিআই মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের হালাল শিল্পখাতের উন্নয়ন: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ আলোচনা সভায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী এসব তথ্য তুলে ধরেন।
রাজিব এইচ চৌধুরী বলেন, ২০৩৪ সালের মধ্যে বৈশ্বিক হালাল বাজার ৯.৪৫ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। কিন্তু বাংলাদেশে কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে আমরা এ খাতে পিছিয়ে। আন্তর্জাতিক মান বজায় না রাখা, সার্টিফিকেট প্রাপ্তির জটিলতা, আধুনিক ল্যাবের অভাব, দক্ষ জনবল সংকট—সব মিলিয়ে হালাল ইকোসিস্টেম গড়ে উঠছে না। তিনি আরও বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বিএসটিআই হালাল সার্টিফিকেট দিলেও এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সীমিত। তাই এখন স্বতন্ত্র হালাল সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন সময়ের দাবি।
আলোচনা সভায় আইইউবিএটির মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মমিনুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, দেশে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন দুই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হওয়ায় জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ইমেজ, সমন্বিত নীতিমালা ও দক্ষ জনবলের অভাবও বড় চ্যালেঞ্জ।
সভায় আলোচক হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, বিডার মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আরিফুল হক, ইপিবির মহাপরিচালক মিসেস বেবী রাণী কর্মকার, বিএসটিআই-এর উপ-পরিচালক (হালাল সার্টিফিকেশন) এস এম আবু সাইদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ড. মো. আবু সালেহ পাটোয়ারী, বেঙ্গল মিটের এজিএম সায়েদুল হক ভূইয়্যা, মেটামরফোসিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিক এম আলম এবং প্যারাগন গ্রুপের সহকারী ম্যানেজার (এক্সপোর্ট) মো. আবুল কালাম আজাদ। সভায় ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।