সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশের কৃষি উৎপাদনকে সমর্থন দিতে এক লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানি করা হবে। এ কাজে মোট ব্যয় হবে ৭২২ কোটি ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৭২০ টাকা। এর মধ্যে ৭০ হাজার টন এমওপি সার এবং ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ভার্চ্যুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্বে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে কানাডার কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন (সিসিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৯ম লটের ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কানাডা থেকে এই সার আনার খরচ হবে ১৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যা প্রতি টন হিসেবে দাঁড়াচ্ছে ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার।
এছাড়া মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে ৮ম (ঐচ্ছিক-১ম) লটের ৩০ হাজার টন সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে। মরক্কো থেকে এই সার আনার ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৮১ লাখ ৫৬ হাজার ২৪০ টাকা, প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫৬,৮৬৭ মার্কিন ডলার।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সৌদি আরবের সাবিক কৃষি-পুষ্টি কোম্পানি থেকে ৪র্থ লটের ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৫৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮০ টাকা, প্রতি টন সারের দাম ৪২২.৬৬ মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৬ষ্ঠ লটের ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে সরকার। কাফকো থেকে সার কিনতে ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, যা প্রতি মেট্রিক টনে ৩৯০.৭৫ মার্কিন ডলার।
সরকার আশা করছে, এই বড় পরিসরের সার আমদানি দেশের কৃষি উৎপাদনকে শক্তিশালী করবে এবং স্থানীয় চাহিদা পূরণে সাহায্য করবে।

