রপ্তানিকারকদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারে নতুন সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে তারা নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে সোয়াপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে ৩০ দিনের পুলে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা–টাকা সোয়াপ চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোয়াপ কীভাবে কাজ করে:
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সোয়াপ চুক্তি বলতে নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা তাৎক্ষণিকভাবে ক্রয় এবং নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের ব্যবস্থাকে বোঝায়। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের নিজস্ব বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করা হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য মেয়াদের বেশি হতে পারবে না। ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ৩০ দিন। সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ বা মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সোয়াপ লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন সুবিধা হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপের মাধ্যমে পাওয়া টাকা কেবল রপ্তানি কার্যক্রমের চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যাবে। ফটকা বা বিনিয়োগমূলক কোনো কাজে এই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
রপ্তানিকারকদের জন্য তাৎপর্য: শিল্পখাতের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত রপ্তানিকারকদের স্বল্পমেয়াদি তারল্য সংকট কমাতে সহায়ক হবে। এতে তারা প্রচলিত রপ্তানি ঋণের ওপর নির্ভর না করেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে পারবেন। পাশাপাশি এটি বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকে আরও উৎসাহিত করবে।

