রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম একদিনের ব্যবধানে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। গতকালও যেখানে দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, আজ (৫ নভেম্বর) তা ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুগদা, বাসাবো, মালিবাগ ও মগবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুদি দোকানগুলোতে মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ভ্যান গাড়িতে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ কিছুটা কম দামে, ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মুগদা বাজারের মোল্লা জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. আজমল বলেন, ‘গত শুক্রবারও ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। দুদিন আগেও ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আজ তুলনামূলক ছোট পেঁয়াজ ১১০ টাকা এবং বড় বাছাইকৃত পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’
ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, প্রধানত দুটি কারণে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকা। দুই, রবি মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসতে দেরি হওয়া।
কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের দাম মানভেদে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা কেজি, যা গত শুক্র-শনিবার ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা। আড়তদাররা জানিয়েছেন, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। এছাড়া রবি মৌসুমের পেঁয়াজ এখনও বাজারে কম পাওয়া যাচ্ছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আমদানি না হলে পেঁয়াজের দাম আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
কারওয়ান বাজারের আড়তদার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে আড়তে পেঁয়াজের দাম প্রায় ৩০ টাকা বেড়েছে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটই দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ।’
পেঁয়াজ আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘গত তিন মাস ধরে দেশে পেঁয়াজের সংকট চলছে। বর্তমানে বাজারে মজুত কম। ভারতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫ টাকা কেজিতে। তাই দেশে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত আমদানি ছাড়া বিকল্প নেই।’
পেঁয়াজ চাষীরা জানান, এ বছর বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজ রোপণ কিছুটা দেরিতে হয়েছে। এর ফলে রবি মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসতেও দেরি হচ্ছে। সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে রবি মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসে, কিন্তু এ বছর অনেক জেলায় এখনো উত্তোলন সম্ভব হয়নি।

