বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন আসছে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
প্রায় ২৫ বছর পর এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আয়োজনের ফলে বিচারাঙ্গনে বিরাজ করছে নতুন উদ্দীপনা।
বিচারকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনের প্রতি তাদের প্রবল আগ্রহ এবং প্রত্যাশা। বিচার বিভাগের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের পরিসরকে যেন এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে।
ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন অনলাইন মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর ও গতিশীল করার উদ্যোগ প্রশংসিত হচ্ছে।
আগামী ৩০ অক্টোবর ভোটগ্রহণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে তার উপস্থিতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি আইন উপদেষ্টা ড. নজরুলের কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছালে তিনি সেটি সানন্দে গ্রহণ করেন।
এই আমন্ত্রণ গ্রহণের সময় ড. নজরুল বলেন, “স্বৈরাচার পতনের পর এটাই হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।”
তার এই মন্তব্যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর সকলের প্রত্যাশা যেন আরও বেড়ে গেল।
ড. নজরুলের মতে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি নতুন ধারার সূচনা হতে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করতে ভূমিকা রাখবে।
নির্বাচনী অনুষ্ঠানে ড. আসিফ নজরুলের পাশাপাশি আইন সচিবের উপস্থিতিও নির্ধারিত রয়েছে।
এছাড়া এসোসিয়েশনের পদস্থ কর্মকর্তারা, সংগঠক এবং নির্বাচন কমিশনের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
তাদের সম্মিলিত উপস্থিতি বিচারাঙ্গনের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিচারাঙ্গনের এই নির্বাচনী আয়োজন দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে যাচ্ছে। বিচারকদের মধ্যে যে উদ্দীপনা এবং আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
তা শুধু একটি নির্বাচন নয় বরং দেশের বিচার বিভাগের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের প্রেরণা ও শক্তির প্রতীক হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।