হাইকোর্ট অবৈধ ইটভাটা বন্ধে নতুন আদেশ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, যদি ইটভাটার কাছে লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকে তবে সেগুলো অবৈধ হবে। এর ফলে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
২০২২ সালে, মানবাধিকার ও শান্তির জন্য বাংলাদেশ একটি রিট পিটিশন দাখিল করে। তারা দাবি করে, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে। এই রিটের পর আদালত রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।
এদিকে, গত রোববার ইটভাটা মালিক সমিতি আদালতে আবেদন করে। তারা আদালতের পূর্বের আদেশ সংশোধন করতে চায়। মঙ্গলবার, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী আদালতে আবেদনটি শোনেন।
শুনানির পর আদালত পূর্বের আদেশে কিছু পরিবর্তন আনে। নতুন আদেশে বলা হয়, ড্রাম চিমনি বা ফিক্সড চিমনিসহ যেকোনো ইটভাটার লাইসেন্স এবং পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে সেগুলো অবৈধ হবে। আদালত আরও বলেন, যেভাবেই ইটভাটা পরিচালিত হোক না কেন, লাইসেন্স না থাকলে তা অবৈধ।
আদালত তার পূর্বের আদেশে দেওয়া উচ্ছেদ ও ধ্বংস করার নির্দেশনা বহাল রাখেন।
এ সময়, ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল বলেন, তাদের কিছু সদস্যের জিগজ্যাগ পদ্ধতির ইটভাটা রয়েছে। তারা চান, সেই ইটভাটাগুলো ভাঙা না হয়।
বাদী পক্ষের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, আইন অনুযায়ী, লাইসেন্স না থাকলে ইটভাটা অবৈধ হবে। এটি যে পদ্ধতিতে চালানো হোক না কেন।
এখন, আদালতের এই আদেশের ফলে প্রশাসনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।