ময়মনসিংহের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ. কে. এম. ছিফাতুল্লাহর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, মামলা বাণিজ্য ও হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আব্দুল আউয়াল। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল আউয়াল জানান, তার ছেলে আশরাফুল ইমরান হৃদয়ের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট ছিফাতুল্লাহর শ্যালক মাজহারুল ইসলাম তুষারের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পরে তুষারের মাধ্যমে তার ছেলে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পরিচিত হয়। আউয়ালের দাবি, ছিফাতুল্লাহ তার ছেলেকে নিলামের মালামাল দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং শ্যালকের কাছে চেক ও স্ট্যাম্প জামানত দিতে বলেন।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, ম্যাজিস্ট্রেট ছিফাতুল্লাহ ও আত্মীয়রা তার ছেলের কাছে ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা গচ্ছিত রাখেন কিন্তু নিলামের মালামাল তারা দেয়নি। সর্বশেষ গত বছরের ১৩ জুলাই নিলামে তার ছেলের নাম রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ থাকলেও মাল হাতে আসেনি। পরে তুষার নগদ ১০ লাখ টাকা নেয়। বাকি টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা শুরু হয়।
আউয়ালের অভিযোগ, অবশিষ্ট টাকা ফেরত না দিয়ে তারা নতুন করে বিভিন্ন খরচের হিসাব দেখান। চেক ও স্ট্যাম্পও ফেরত দেননি। বরং তুষারকে বিদেশে পাঠিয়ে দেন এবং তার ছেলে ও নিজের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি শুরু করেন। এমনকি পুলিশ দিয়ে হুমকি ও হয়রানিও করা হয়।
তিনি আরও জানান, আলোচনার পর ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলে প্রথমে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বাকি টাকা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লার কাছে জমা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে মামলার শর্ত পূরণ হলেও তার ছেলে আদালতে সারেন্ডার করলে জামিন নামঞ্জুর হয় এবং কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযোগে আউয়াল বলেন, “ম্যাজিস্ট্রেট ছিফাতুল্লাহ খাস কামরায় ডেকে আমার ছেলেকে রাজনৈতিক মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। অফিস সহায়ক ফরিদ উদ্দিন ও আত্মীয়দের নিয়ে মামলা বাণিজ্য করে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করছে। এতে আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে।” তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন এবং ছিফাতুল্লাহকে বিচারকের আসন থেকে অপসারণের আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ. কে. এম. ছিফাতুল্লাহ বলেন, “আমার বক্তব্য দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের অনুমতি প্রয়োজন। আর ওই লোকের (আব্দুল আউয়াল) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

