Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Thu, Nov 6, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বানিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » দেওয়ানী মামলায় ন্যায়বিচার পেতে সময় কেন শত্রু হয়ে দাঁড়ায়
    আইন আদালত

    দেওয়ানী মামলায় ন্যায়বিচার পেতে সময় কেন শত্রু হয়ে দাঁড়ায়

    মনিরুজ্জামানOctober 7, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    দেওয়ানী মামলা হলো এমন এক ধরনের আইনি প্রক্রিয়া যেখানে ব্যক্তিগত অধিকার, সম্পত্তি বা আর্থিক ক্ষতির জন্য আদালতে মামলা করা হয়। এই মামলাগুলো সাধারণত চুক্তিভঙ্গ, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ, পারিবারিক বিষয় (যেমন – দেনমোহর, ভরণপোষণ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সন্তানের হেফাজত) এবং ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য করা হয়ে থাকে। দেওয়ানী মামলার বিচার প্রক্রিয়া দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮ (Code of Civil Procedure, 1908) দ্বারা পরিচালিত হয়

    সমন জারি: মামলা দায়েরের পর প্রথম ধাপ হলো সমন জারি। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমন জারি না হলে মামলার কার্যক্রম শুরু হয় না। সমন হলো সেই নোটিশ যা দিয়ে বিবাদীকে জানানো হয় যে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনেক সময়ই সমন ঠিকমতো জারি না হওয়ায় মামলা দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যায়।

    বিবাদীর লিখিত জবাব দাখিল: বিবাদীর লিখিত জবাব দাখিল” হলো দেওয়ানী মামলার এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। সমন জারি হলে যিনি বা যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, তারা আদালতের মাধ্যমে লিখিতভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া বা যুক্তি জমা দেন। এই ধাপে বিবাদী আদালতকে জানায়, মামলাটির বিরুদ্ধে তার অবস্থান কী। সাধারণত এটি আইনজীবীর মাধ্যমে করা হয়। আদালত এই জবাব গ্রহণ করার পরে মামলার পরবর্তী ধাপ যেমন শুনানি বা ইস্যু গঠন শুরু হয়।
    প্রথম শুনানি: মামলা দায়েরের পর এবং বিবাদীর লিখিত জবাব দাখিল হওয়ার পর আদালত প্রথম শুনানীর জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন। এই ধাপে বিচারক দেখে যে মামলার পক্ষগুলোর মধ্যে কি কোনো বিরোধীয় বিষয় আছে কি না। যদি প্রথম শুনানীতে দেখা যায় পক্ষগুলোর মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, তবে আদালত মামলাটি তৎক্ষণাৎ নিষ্পত্তি করতে পারেন। তবে বাস্তবে এটি খুবই বিরল। অধিকাংশ মামলায় বিরোধ থাকে, তাই পরবর্তী ধাপগুলো যেমন ইস্যু গঠন, দলিল যাচাই ও সাক্ষ্য গ্রহণ এগোতে থাকে।

    ইস্যু গঠন: প্রথম শুনানীর পর আদালত নির্ধারণ করেন মামলার বিরোধীয় বিষয়গুলো কী কী। কেবল এই বিষয়গুলোর ওপরই মামলার বিচার হবে। ইস্যু গঠন হয়ে গেলে মামলা আরও স্পষ্টভাবে দু’পক্ষের বিতর্কিত বিষয়গুলোর ভিত্তিতে এগোতে পারে।

    উদঘাটন ও পরিদর্শন: ইস্যু গঠনের পর বাদী বা বিবাদী আদালতের অনুমতি নিয়ে একবার লিখিত প্রশ্নাবলী দাখিল করতে পারেন। এই ধাপে পক্ষগুলো তথ্য ও দলিল যাচাই করেন। এটি মামলার প্রমাণ সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

    ৩০ ধারার তদ্বির: এই পর্যায়ে আদালত নির্ধারিত শর্ত ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে যেকোনো তথ্য, দলিল বা সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দিতে পারেন। এটি আদালতের নিজ উদ্যোগে বা কোনো পক্ষের আবেদন অনুযায়ী হতে পারে। এছাড়া আদালত চাইলে দলিল পরিদর্শন, উপস্থাপন, আটক বা ফেরত সংক্রান্ত আদেশও দিতে পারেন।

    চূড়ান্ত শুনানি: এরপর চূড়ান্ত শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এই ধাপে বিচারক বাদী ও বিবাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করেন, দলিলাদি যাচাই করেন এবং সাক্ষীদের জেরা করেন।

    যুক্তিতর্ক ও রায়: চূড়ান্ত শুনানীর পরে আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শোনেন। যুক্তিতর্ক হলো সেই সময় যখন বাদী ও বিবাদীর আইনজীবীরা আদালতের সামনে নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করেন। তারা ব্যাখ্যা করেন কেন তাদের দাবি বা প্রতিকার মেনে নেওয়া উচিত, এবং কেন অন্যপক্ষের দাবিটি খারিজ করা উচিত।

    • যুক্তিতর্কের সময় আদালত দুটি বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল করেন: পূর্ববর্তী ধাপে জমা দেওয়া দলিল ও প্রমাণ।  সাক্ষীদের দেয়া তথ্য এবং আদালতে উত্থাপিত বিরোধীয় বিষয়।
    • পক্ষগুলোর যুক্তি শেষ হওয়ার পর বিচারক সব তথ্য ও প্রমাণ যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেন।

    এরপর আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায় হলো মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, যা মামলার দাবি পূরণ বা প্রত্যাখ্যানের কথা নির্ধারণ করে। রায়ের সঙ্গে ডিক্রি প্রদানও হয়। ডিক্রি হলো আদালতের লিখিত আদেশ, যা প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং যার ভিত্তিতে আদালত প্রয়োজনে সম্পত্তি, টাকা বা অন্য প্রকার কার্যাদেশ জারি করতে পারেন।

    মোটামুটি একটি দেওয়ানী মামলা ১২ থেকে ১৩টি ধাপ বা স্তরের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। একটি ধাপ থেকে পরবর্তী ধাপে যেতে সাধারণত কমপক্ষে দুই মাস সময় লাগে। তাই সাধারণ হিসাব অনুযায়ী, এক মামলার শুরু থেকে শেষ হতে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগে, কিন্তু বাস্তবতা আরও জটিল। যার বিরুদ্ধে রায় আসে, তিনি জেলা জজ আদালতে আপিল করেন। এই আপিল নিষ্পত্তিতে কমপক্ষে দুই বছর লাগে। এরপর হারে সেই পক্ষ হাইকোর্টে রিভিশন করেন, যেখানে আরও কমপক্ষে তিন বছর সময় লাগে। হাইকোর্টে হেরে গেলে আপিল বিভাগে যান, যা আরও তিন বছর সময় নেয়। এই হিসাব অনুযায়ী, চূড়ান্তভাবে একটি মামলা শেষ হতে ১০–১২ বছর লেগে যায়।

    এর চেয়ে বাস্তব জটিলতা আরও বড়। কখনও আদালত এমন আদেশ দেন, যার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে এক পক্ষ উচ্চ আদালতে রিভিশন করেন। তখন মূল মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে এবং নিম্ন আদালতে কার্যক্রম স্থগিত হয়। এছাড়া উভয় পক্ষ সময়ের আবেদন, সাক্ষী দেরি আনা বা সমন জারি না হওয়ার কারণে মামলা আরও দীর্ঘায়িত হয়। অনেক সময় সমন ঠিকমতো জারি না হওয়ার কারণে মামলাটি বছরের পর বছর শুরুও হয় না। সার্বিকভাবে, দেওয়ানী মামলা নিষ্পত্তি হতে এত বেশি সময় লাগে মূলত প্রক্রিয়ার জটিলতা, আদালতের ধীরগতি এবং পক্ষগুলোর দেরি এর কারণে।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    টানা তিন মাস ধরে কমছে পোশাক রপ্তানি

    November 5, 2025
    শিক্ষা

    বিশ্বে বইপড়ায় শীর্ষে আমেরিকানরা, তলানিতে বাংলাদেশ

    November 5, 2025
    অপরাধ

    শিক্ষা সহকারী সচিবের শুধু ব্যাংকেই লেনদেন ১৭ কোটি!

    November 5, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.