Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Sun, Oct 12, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বানিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • প্রযুক্তি
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » অধস্তন আদালতে সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগে যুগান্তকারী পরিবর্তন
    আইন আদালত

    অধস্তন আদালতে সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগে যুগান্তকারী পরিবর্তন

    মনিরুজ্জামানOctober 7, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    সারা দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে প্রায় এক বছর ধরে সহায়ক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ বন্ধ ছিল। বিগত সরকারের সময়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠার পর নতুন নিয়োগবিধি সংশোধনের কাজ শুরু হওয়ায় এই অচলাবস্থা তৈরি হয়। বর্তমানে আদালতগুলোতে তিন হাজারের বেশি পদ শূন্য। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী এসব নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি)-এর হাতে।

    গতকাল সোমবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে সংশোধিত নিয়োগবিধি প্রজ্ঞাপন জারির জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, রাতেই বা আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। বিগত সরকারের সময়ে অধস্তন আদালতের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের অনিয়ম ঘটেছিল। অভিযোগ ওঠে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে গঠিত সিন্ডিকেট জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে অযোগ্য ও অদক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছে।

    তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে নিয়োগ পাওয়া তিন হাজারের বেশি কর্মচারীর বড় অংশ এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা থেকে, যা সাবেক মন্ত্রীর নিজ এলাকা। ফলে আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। অনেক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি ন্যূনতম কাজও জানতেন না। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আইন মন্ত্রণালয় এসব অনিয়ম নিয়ে তদন্ত শুরু করে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখে হতবাক হন। পরে নিয়োগবিধি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এখন সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা জেলা জজদের থেকে তুলে নিয়ে কমিশনের হাতে দেওয়া হয়েছে।

    কোন বিধিমালা সংশোধন হলো: দুটি নিয়োগবিধি সংশোধন করা হয়েছে:

    ১. জেলা জজ ও অধস্তন আদালত (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮৯
    ২. জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসি (সহায়ক কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০০৮

    আগে নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজ ও সিনিয়র সহকারী জজ একটি কমিটি গঠন করতেন। তারা প্রার্থী বাছাই করে জেলা জজের কাছে সুপারিশ পাঠাতেন। জেলা জজ চূড়ান্ত নিয়োগ দিতেন। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ব্যাপক দুর্নীতি ও ঘুষের লেনদেন চলত।

    নতুন বিধিতে কী থাকছে: নতুন বিধিতে বলা হয়েছে—

    • সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা জজ হবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ।
    • প্রার্থী বাছাই করবে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন।
    • কমিশন লিখিত, ব্যবহারিক (যদি প্রযোজ্য) ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করবে।
    • বাছাইকৃত প্রার্থীদের তালিকা জেলা জজের কাছে পাঠানো হবে। জেলা জজকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।
    • কোনো পদ শূন্য হলে এক মাসের মধ্যে জেলা জজকে তা কমিশনের কাছে জানাতে হবে।
    • কমিশন বছরে এক বা একাধিকবার কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে।
    • প্রয়োজন হলে মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞসহ বোর্ড গঠন করা যাবে।

    একটি বিশেষ বিধান অনুযায়ী নিয়োগবিধি সংশোধনী কার্যকর হওয়ার সময় যে সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল, যদি লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন না হয়ে থাকে, তবে সব আবেদন কমিশনের কাছে পাঠানো হবে। কমিশন তা বাছাই করবে এবং নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রয়োজন হবে না। বিচারক ও আইনজীবী মহলে এই পদক্ষেপকে “যুগান্তকারী” বলা হচ্ছে। একাধিক বিচারক মনে করেন, “বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষায় পদক্ষেপটি সময়ের দাবি ছিল। ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ পাওয়া অযোগ্য কর্মচারীদের কারণে বিচার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।”

    বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, “আমরা কমিশনের মাধ্যমে সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আশা করি দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ হলে বিচারপ্রার্থীদের প্রত্যাশিত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।” সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী এখন থেকে আদালতের নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক ও কেন্দ্রীভূত। এতে অদক্ষ নিয়োগ বন্ধ হবে এবং বিচার বিভাগের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    আইন আদালত

    ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত সেনাদের বিচার কি আইনগতভাবে বাধাগ্রস্ত?

    October 11, 2025
    আইন আদালত

    নতুন আইনে মানবাধিকার কমিশন পাবে স্বাধীনতা ও পূর্ণ ক্ষমতা

    October 11, 2025
    আইন আদালত

    আদালত বর্জন ও বিচারকার্যে বাধা: অসাংবিধানিক এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ

    October 11, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    টেকসই বিনিয়োগে শীর্ষে থাকতে চায় পূবালী ব্যাংক

    অর্থনীতি August 15, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.