জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান ও তার স্ত্রী শারমীন খানের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এনামুল হক খান ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভার্সের এবং শারমীন খান শারমিন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী। তিনি ২০২৩ সালে বাজুস থেকে বহিস্কার হন।
গতকাল বুধবার দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এই মামলা অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, এনামুল হক খান ২ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ৬৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া ১২টি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৪২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
তাঁর স্ত্রী শারমীন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৭টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৫ কোটি ২২ লাখ ৯০ হাজার ১৬৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের। দুদক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায়।