মির্জা গালিব হোসেন এক সকালে দেখলেন, তাঁর পৈতৃক জমিতে পাশের গ্রামের কয়েকজন বেড়া দিয়ে রেখেছে। তিনি থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ জানায়, “এটা দেওয়ানী বিষয়, আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারব না।” অন্যদিকে, সানজিদা বেগমকে তাঁর স্বামী মারধর করলে থানায় গিয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে জিডি ও মেডিকেল করিয়ে ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।
দুটি ঘটনাই আইনি সমস্যা, কিন্তু পুলিশের প্রতিক্রিয়া একেবারে আলাদা। কেন এমন পার্থক্য? এর উত্তর লুকিয়ে আছে দেওয়ানী ও ফৌজদারি আইনের ভিন্ন প্রকৃতিতে। দেওয়ানী আইন মূলত ব্যক্তি ও ব্যক্তির মধ্যে অধিকার, সম্পত্তি, চুক্তি বা পারিবারিক বিরোধের মতো বিষয় নিয়ে কাজ করে। এসব মামলায় সাধারণত ক্ষতিপূরণ বা মালিকানার অধিকার স্থির করা হয়। যেমন—জমির দখল, দেনাপাওনা, উত্তরাধিকার বা বিবাহবিচ্ছেদের মতো বিষয়। অন্যদিকে, ফৌজদারি আইন সমাজ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিচার নিয়ে কাজ করে। এখানে লক্ষ্য অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া, যাতে আইন-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। হত্যা, চুরি, মারধর, প্রতারণা, ধর্ষণ—এসব ফৌজদারি অপরাধ।
অতএব, মির্জা গালিব হোসেনের জমি দখলের ঘটনা দেওয়ানী আইনের আওতায় পড়ে, কারণ এটি মালিকানার বিরোধ, কিন্তু সানজিদা বেগমের প্রতি স্বামীর সহিংসতা ফৌজদারি অপরাধ, যেখানে পুলিশ সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারে। আইন সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার জন্যই। তবে দেওয়ানী ও ফৌজদারি আইনের পার্থক্য জানা থাকলে আমরা সহজে বুঝতে পারি, কখন আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে আর কখন পুলিশি পদক্ষেপ জরুরি।
দেওয়ানী মামলা: অধিকার ও সম্পত্তির বিরোধে আইনি প্রতিকার:
সহজভাবে বললে, দেওয়ানী মামলা হলো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অধিকার বা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের আইনি সমাধান। এখানে কোনো অপরাধ ঘটে না, বরং এক পক্ষের অধিকার ক্ষুণ্ন হয় বা চুক্তি লঙ্ঘিত হয়। যেমন, আপনি বন্ধুকে কিছু টাকা ধার দিলেন, কিন্তু সে নির্ধারিত সময়ে ফেরত দিচ্ছে না—এটা এক ধরনের দেওয়ানী বিরোধ। আপনি আইন অনুযায়ী মামলা করে আপনার টাকা ফেরত পেতে পারেন।
দেওয়ানী মামলার মূল উদ্দেশ্য শাস্তি নয়, বরং ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে তার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়া বা বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা। দেওয়ানী মামলার সাধারণ উদাহরণ:
- জমি বা সম্পত্তি বিরোধ: মালিকানা, সীমানা বা দখল সংক্রান্ত সমস্যা। (তবে নতুন আইন অনুযায়ী কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে, যা পরবর্তীতে আলোচ্য)।
- উত্তরাধিকার: পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে আত্মীয়দের মধ্যে বিরোধ।
- চুক্তি ভঙ্গ: বাড়ি ভাড়া, ব্যবসা বা অন্য কোনো চুক্তি মানা না হলে।
- পারিবারিক বিষয়: বিবাহবিচ্ছেদ, খোরপোষ, সন্তানের হেফাজত বা অভিভাবকত্ব।
- দেনা-পাওনা: ঋণ বা পাওনা টাকা আদায় সংক্রান্ত মামলা।
- মানহানি: কেউ মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সম্মানহানি করলে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দেওয়ানী মামলা করা যায়।
এই মামলাগুলো পরিচালিত হয় সিভিল প্রসিডিউর কোড, ১৯০৮ (Civil Procedure Code – CPC) অনুযায়ী। আদালত এখানে সাক্ষ্য, দলিল ও তথ্য যাচাই করে নির্ধারণ করেন কে আইনগতভাবে সঠিক। এরপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রায় কার্যকর করা হয়। যেমন—আদালত রায় দিতে পারেন যে জমির মালিক আপনি, অথবা অন্য পক্ষকে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ফৌজদারি মামলা: সমাজ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার:
দেওয়ানী মামলার বিপরীতে, ফৌজদারি মামলা এমন অপরাধ নিয়ে কাজ করে যা কেবল ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। কেউ যখন এমন কাজ করে যা আইনে অপরাধ হিসেবে নির্ধারিত—যেমন চুরি, খুন, ধর্ষণ, মারামারি বা প্রতারণা—তখন সেটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ফৌজদারি মামলার লক্ষ্য হলো অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া, যাতে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে ও মানুষ নিরাপদ থাকে। এখানে সাধারণত রাষ্ট্রই বাদী, কারণ অপরাধকে ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক ক্ষতি হিসেবে দেখা হয়। যদিও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি থানায় এজাহার (FIR) দায়ের করেন বা আদালতে অভিযোগ করেন, মামলাটি চলে রাষ্ট্র বনাম অভিযুক্ত হিসেবে। ফৌজদারি মামলার সাধারণ উদাহরণ:
- শারীরিক আঘাত ও সহিংসতা: মারধর, গুরুতর জখম, হত্যা বা হত্যার চেষ্টা।
- সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ: চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, দস্যুতা, চাঁদাবাজি।
- যৌন অপরাধ: ধর্ষণ, যৌন হয়রানি।
- প্রতারণা ও জালিয়াতি: মিথ্যা তথ্য বা দলিল দেখিয়ে প্রতারণা করা।
- মাদক সংক্রান্ত অপরাধ: মাদক বেচাকেনা, পাচার বা সেবন।
- নারী ও শিশু নির্যাতন: যৌতুকের জন্য মারধর, এসিড নিক্ষেপ, শিশু অপহরণ।
- ভূমি জবরদখল: নতুন আইনে এটি এখন সরাসরি ফৌজদারি অপরাধের আওতায়।
এই ধরনের মামলা পরিচালিত হয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০ (Penal Code) এবং ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ (Code of Criminal Procedure – CrPC) অনুযায়ী। এছাড়াও বিভিন্ন বিশেষ আইন (Special Acts) আছে, যেমন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন, সন্ত্রাস দমন আইন ইত্যাদি। দণ্ডবিধি অপরাধের ধরন ও শাস্তি নির্ধারণ করে, আর কার্যবিধি নির্দেশ দেয় কীভাবে তদন্ত, বিচার ও শাস্তি কার্যকর হবে। ফৌজদারি মামলায় প্রমাণের মানদণ্ড কঠোর—যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রমাণ করতে হয় যে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ করেছেন। দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি হতে পারে জরিমানা, কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড, অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী।
একই ঘটনায় দুই মামলা: দেওয়ানী ও ফৌজদারি—দুটিই সম্ভব কিভাবে:
আইনের দুটি ধারা—দেওয়ানী ও ফৌজদারি—বোঝার পর অনেকের মনে প্রশ্ন আসে, একই ঘটনায় কি দুই ধরনের মামলা হতে পারে? উত্তর হলো, হ্যাঁ, হতে পারে। ধরা যাক, মির্জা গালিব হোসেনের উদাহরণই আবার দেখি। তাঁর জমি বেড়া দিয়ে দখল করে নিয়েছে কিছু লোক। জমির মালিকানা বা দখল ফিরে পাওয়া দেওয়ানী বিষয়ের আওতায় পড়ে। তিনি আদালতে দেওয়ানী মামলা করে জমি ফেরত পেতে পারেন।
কিন্তু যদি ওই দখলদাররা তাঁকে জমিতে ঢুকতে বাধা দেয়, ভয় দেখায় বা শারীরিকভাবে আঘাত করে, তাহলে এটি আর শুধু দেওয়ানী বিষয় থাকে না—এখানে ফৌজদারি অপরাধও সংঘটিত হয়। এক্ষেত্রে মির্জা গালিব হোসেন একদিকে দেওয়ানী আদালতে নিজের সম্পত্তির দখল ফেরত চাওয়ার মামলা করতে পারেন, অন্যদিকে থানায় গিয়ে ভয় দেখানো বা মারধরের অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারেন। ফৌজদারি মামলায় অপরাধীদের শাস্তি হতে পারে, আর দেওয়ানী মামলায় তিনি নিজের অধিকার বা জমির দখল ফিরে পাবেন।
আরেকটি প্রচলিত উদাহরণ হলো চেক ডিজঅনার। কেউ কাউকে চেক দিলেন, কিন্তু অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় সেটি ফেরত এলো। পাওনাদার টাকার দাবিতে দেওয়ানী মামলা করতে পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে এটি এখন ফৌজদারি অপরাধও (নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্ট অনুযায়ী)। ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও হতে পারে, যার ফলে জরিমানা বা জেল হতে পারে অর্থাৎ, এক ঘটনায় দেওয়ানী মামলা হয় অধিকার বা ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য, আর ফৌজদারি মামলা হয় অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য।
দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলার মূল পার্থক্য:
দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলা—দুটি আইনি প্রক্রিয়া হলেও তাদের উদ্দেশ্য, চরিত্র ও প্রয়োগ একেবারেই ভিন্ন। নিচে সহজ ভাষায় তাদের মূল পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—
- বিষয়বস্তু: দেওয়ানী মামলা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অধিকার, সম্পত্তি বা চুক্তি নিয়ে বিরোধের বিষয়ে হয়। অন্যদিকে, ফৌজদারি মামলা সমাজ বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ নিয়ে কাজ করে, যা জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে।
- পক্ষসমূহ: দেওয়ানী মামলায় বাদী ও বিবাদী দুজনই সাধারণত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান (যেমন: মির্জা গালিব বনাম দখলদার)। ফৌজদারি মামলায় বাদী থাকে রাষ্ট্র বা সরকার (প্রসিকিউশন) এবং বিবাদী থাকে অভিযুক্ত ব্যক্তি (যেমন: রাষ্ট্র বনাম অভিযুক্ত)।
- উদ্দেশ্য: দেওয়ানী মামলার লক্ষ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের অধিকার পুনরুদ্ধার, ক্ষতিপূরণ আদায় বা বিরোধের সমাধান করা। ফৌজদারি মামলার উদ্দেশ্য অপরাধীকে শাস্তি দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমানো।
- প্রমাণের মানদণ্ড: দেওয়ানী মামলায় প্রমাণ নির্ধারিত হয় ‘balance of probabilities’ বা সম্ভাবনার ভারসাম্যের ভিত্তিতে—অর্থাৎ কোন পক্ষের বক্তব্য বেশি যুক্তিযুক্ত তা বিবেচনা করা হয়। ফৌজদারি মামলায় প্রমাণ হতে হয় ‘beyond a reasonable doubt’—অর্থাৎ আদালতকে প্রায় নিশ্চিত হতে হয় যে অভিযুক্তই অপরাধ করেছেন।
- ফলাফল: দেওয়ানী মামলায় আদালত ক্ষতিপূরণ, সম্পত্তি ফেরত বা চুক্তি পালনের আদেশ দিতে পারেন। ফৌজদারি মামলায় ফলাফল হয় শাস্তি—যেমন জরিমানা, কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড।
- মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া: দেওয়ানী মামলা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ সরাসরি বা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে দায়ের করেন। ফৌজদারি মামলা সাধারণত থানায় এজাহার (FIR) দাখিলের মাধ্যমে শুরু হয়, অথবা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আদালতে সিআর মামলা করতে পারেন। তবে বিচারের সময় রাষ্ট্রই বাদী হয়ে মামলা পরিচালনা করে।
এই মৌলিক পার্থক্যগুলো জানলে সহজেই বোঝা যায়, কোনো ঘটনার ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালতের দ্বারস্থ হওয়া প্রয়োজন, না কি ফৌজদারি আদালতে মামলা করা উচিত, কিংবা কোনো ক্ষেত্রে দুই পথেই পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
দেওয়ানী না ফৌজদারি: কোনটা আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
নিজের সমস্যাটা কোন ধরনের আইনের আওতায় পড়ে, সেটা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো এর প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা। যদি আপনার কোনো অধিকার ক্ষুণ্ন হয়—যেমন জমি বা সম্পত্তির মালিকানা, টাকা-পাওনা, চুক্তি লঙ্ঘন, উত্তরাধিকারের ভাগ না পাওয়া, বা পারিবারিক অধিকার সম্পর্কিত বিষয়—এবং এতে সমাজের জন্য বড় কোনো হুমকি না থাকে, তবে এটি দেওয়ানী বিষয়। এখানে আপনার লক্ষ্য হবে নিজের অধিকার বা পাওনা ফিরিয়ে আনা।
কিন্তু যদি কেউ এমন কাজ করে যা আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে শাস্তিযোগ্য—যেমন মারধর, চুরি, প্রতারণা, ভয় দেখানো বা জবরদখল—তাহলে সেটি ফৌজদারি অপরাধ। এক্ষেত্রে অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া আইনগতভাবে প্রয়োজন, যাতে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়। কিছু কিছু ঘটনা আবার দেওয়ানী ও ফৌজদারি দুই দিকেই প্রযোজ্য হতে পারে। যেমন—জোরপূর্বক জমি দখল। এখানে আপনি দেওয়ানী মামলা করে সম্পত্তির দখল ফেরত চাইতে পারেন, আবার ফৌজদারি মামলা করে দখলদারদের শাস্তির আওতায় আনতে পারেন। তাই যদি আপনি নিশ্চিত না হন কোন পথে এগোবেন, একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তিনি আপনার মামলার প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক আইনি দিকনির্দেশনা দেবেন।
আইনের মৌলিক ধারণা জানা মানে নিজের অধিকার ও নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত করা। দেওয়ানী ও ফৌজদারি আইনের পার্থক্য বোঝা শুধু আইনজীবীদের নয়, সাধারণ নাগরিকেরও জানা প্রয়োজন। কারণ প্রতিদিনের জীবনে সম্পত্তি, চুক্তি, বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা—সবই কোনো না কোনোভাবে আইনের সঙ্গে যুক্ত। কখন থানা পুলিশে যেতে হবে, আর কখন দেওয়ানী আদালতে মামলা করতে হবে—এই পার্থক্য জানলে আপনি ভুল পদক্ষেপ থেকে বাঁচবেন। নতুন আইন ও সংস্কারের যুগে সচেতন নাগরিক হিসেবে আইনের প্রাথমিক জ্ঞানই হতে পারে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপনার প্রথম ঢাল। আইন জানুন, অধিকার রক্ষা করুন, নিরাপদ সমাজ গড়ুন।