ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ভবন নির্মাণ প্রকল্পের নামে জমি কেনাবেচার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান এম এ খালেককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন বিচারক।
সোমবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও এম এ খালেকসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর তরিকুল ইসলাম জানান, ভবন নির্মাণের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলায় এম এ খালেককে গ্রেপ্তার দেখানো এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান এই আবেদন দাখিল করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করলেও আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি জমি ও স্থাপনা অনিয়ম করে ২০৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় কেনাবেচা করেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এই অর্থের উৎস, প্রকৃতি ও অবস্থান গোপন করতে তা বিভিন্ন ব্যাংকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, বিক্রেতাদের সহযোগিতায় এম এ খালেক ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের মতিঝিল শাখার মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ বিক্রেতা আজহার খানের কাছ থেকে নিজ নামে ৫ কোটি টাকা, স্ত্রী সাবিহা খালেকের নামে আড়াই কোটি টাকা এবং মেয়ে সারওয়াত সিমিন খালেকের নামে প্রায় ৮ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন।
দুদক জানায়, এই অর্থ আত্মসাৎ প্রক্রিয়ায় কারা সহযোগী ছিলেন এবং অর্থ কোথায় স্থানান্তর করা হয়েছে, তা জানার জন্য এম এ খালেককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

