টিএফআই এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি)–এর গুমসংক্রান্ত দুই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সংঘটিত ঘটনাবলির অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ৩ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। রোববার দিনের কার্যক্রম শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এ তারিখ নির্ধারণ করেছেন বিচারকবৃন্দ।
এর আগে রোববার সকাল ১০টার দিকে ১৩ জন সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১–এ হাজির করা হয়। উপস্থিতির পরই শুরু হয় শুনানি। গুমের এ দুই মামলার একটি টিএফআই এবং অন্যটি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে একটি বাংলা এবং একটি ইংরেজি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল–১।
পরবর্তীতে ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তারা ১৫ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে। এরপর ২২ অক্টোবর সকালে বিশেষ প্রিজন ভ্যানে সাধারণ পোশাকে ওই কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। শুনানি শেষে তাদের ঢাকা সেনানিবাসের নির্ধারিত সাব জেলে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেপ্তার ও ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সহযোগিতা দিয়েছে। তার ভাষায়, “অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও বিচারে সোপর্দ করার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে সহায়তা করেছে।”

