মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের রায় ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে অবমাননাকর মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ায় এসব কন্টেন্ট দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আসন্ন ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
রোববার ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ প্রদান করেন। প্যানেলের অন্য সদস্য ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। রায়টি ঘোষণা করা হয় ১৩ নভেম্বর।
রায় ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিচারকদের ছবি ও ভিডিও যুক্ত করে অবমাননাকর মন্তব্য ছড়াতে দেখা যায়। বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের নজরে এলে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং তথ্য সচিবকে এসব কনটেন্ট দ্রুত মুছে ফেলার নির্দেশ দেন।
আদেশে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করে, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবার অধিকার হলেও তা অবশ্যই দেশের প্রচলিত আইন মেনে এবং কাউকে অবমাননা না করে প্রকাশ করতে হবে।
আদেশ ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিমসহ অন্যান্য প্রসিকিউশনের সদস্যরা। আসামিপক্ষের আইনজীবী ও সাংবাদিকরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

