নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই অভিযান পরিচালনা করে দুদক, নোয়াখালীর একটি দল।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান। সঙ্গে ছিলেন উপসহকারী পরিচালক মো. জাহেদ আলম এবং কোর্ট পরিদর্শক মো. ইদ্রিস। দুদক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক পদে ড. মো. শফিউল্লাহকে নিয়োগে ইউজিসি প্রণীত নীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে। নিয়োগের পেছনে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও উঠেছে। জানা গেছে, গত ২৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ড. শফিউল্লাহ এর আগে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও নোবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সোলাইমানের ছোট ভাই। এতে করে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পূর্বে দায়িত্বে না থেকেও তাকে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী, সহযোগী অধ্যাপক পদে আবেদন করতে হলে কমপক্ষে চার বছর সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। পাশাপাশি এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে নির্দিষ্ট জিপিএ প্রয়োজন।
এছাড়া শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত ১০ মার্চ প্রকাশের পর একাধিকবার সংশোধন করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, এসব সংশোধনী কিছু নির্দিষ্ট প্রার্থীকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই করা হয়েছিল। এতে নিয়োগে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আরও শক্ত হয়।
এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, “নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করেছি। প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারেই নিয়োগ হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে সিনিয়র লেকচারারকে সহকারী অধ্যক্ষের সমমান ধরা হয়। পিএইচডি থাকলে ফলাফলের কিছু শর্ত শিথিলযোগ্য। আমরা সব কিছু যাচাই-বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

