এজাহারে বলা হয়েছে, পাচারকৃত অর্থের মাধ্যমে তারা দুবাইয়ে ২২৬টি ফ্ল্যাট কিনেছেন এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও বিনিয়োগে টাকা ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৬–৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ আছে, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচারের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছেন।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি শিল্প প্রতিষ্ঠান আরামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির তিনবার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সিআইডি অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকায়—যেমন আল বর্ষা দক্ষিণ, জাদ্দাফ, হাইবা ষষ্ঠ, জাবাল আলী, ওয়ার্ল্ড আইল্যান্ড, মার্সা দুবাই ইত্যাদিতে—মোট ২২৬টি ফ্ল্যাট কিনেছেন। ফ্ল্যাটগুলোর মোট দাম প্রায় ৩৩৬ কোটি দিরহাম।
তাঁর স্ত্রী রুকমীলা জামানের নামে দুবাইয়ের আল বর্ষা দক্ষিণ এলাকায় দুটি ফ্ল্যাটের তথ্য পাওয়া গেছে, যার দাম প্রায় ২২ লাখ দিরহাম। এছাড়া সাইফুজ্জামান ও তাঁর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে চারটি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। এই হিসাবগুলোতে বিভিন্ন পরিমাণ দিরহাম ও ডলারের লেনদেনের তথ্য রয়েছে, যা তৎকালীন বিনিময় হারের সঙ্গে মিলিয়ে প্রায় ৩১১ কোটি টাকা হিসেবে হিসাব করা হয়।
অতিরিক্তভাবে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও রুকমীলা জামান সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান—জেবা ট্রেডিং এফজেডই (বিল্ডিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন ম্যাটেরিয়াল প্রোডাক্ট) ও দ্রুত র্যাপ্টর এফজেডই (কম্পিউটার সফটওয়্যার)—স্থাপন, বিনিয়োগ ও পরিচালনা করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই সব কার্যক্রমে সরকারের অনুমতি ছিল না। এভাবে তারা অনুমোদনবিহীনভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন।
এ মামলা এখন সিআইডির তত্ত্বাবধানে তদন্তাধীন, এবং ধীরে ধীরে তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হবে।