জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দোতলা প্রশাসনিক ভবনে প্রায় অর্ধ-কোটি টাকা ব্যয়ে লিফট নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে প্রকল্পটি ঘিরে অনিয়ম ও অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে লিফট নির্মাণের জন্য ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয় কিন্তু দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২৫ সালের শুরুতে তিনটি কোম্পানির সঙ্গে দরপত্র আলোচনা হয়। তাদের মধ্যে এলিভেটর কোম্পানি ৫০ লাখ ৫২ হাজার টাকা, স্বপ্ন কোম্পানি ৫২ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ওয়াল্টন কোম্পানি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ১০০ টাকায় কাজ করার প্রস্তাব দেয়। আলোচনার পর ১৮ মার্চ ওয়াল্টন কোম্পানির সঙ্গে যৌথ চুক্তি করে লিফট নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
জবির প্রধান প্রকৌশলী বলেন, “লিফট নির্মাণে যে বাজেট ছিল, তার পুরো টাকাই কাজের জন্য ব্যয় করা হয়েছে। কোনো অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে ফেরত যাচ্ছে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি।” নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার সাহা জানান, “লিফট নির্মাণের জন্য বাজেট ছিল ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকা। এর মধ্যে ওয়াল্টন কোম্পানিকে ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ১০০ টাকায় কাজ দেওয়া হয়েছে। বাকি প্রায় ৬ লাখ টাকা ইউজিসিতে ফেরত যাবে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংস্কার খাতে ব্যয় করা হবে। আমরা নিয়মিত কাজের তদারকি করেছি এবং কোনো অনিয়ম পাইনি। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে লিফট চালু হবে।”
ওয়াল্টন কোম্পানির সিইউও বলেন, “আমাদের সঙ্গে জবির চুক্তি ৪৩ লাখ টাকার। এখানে জার্মান সিরিজের উন্নত ও ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা Public Works Administration (PWA) রেট শিডিউল অনুযায়ী কাজ করেছি। একই ধরনের লিফট অন্য কোম্পানি বসালে প্রায় ৭০ লাখ টাকা খরচ হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করে আমরা ব্র্যান্ডিংয়ের স্বার্থে কম দামে কাজ করেছি।” তবে অনুমোদিত বাজেটের ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকার মধ্যে ওয়াল্টন ৪৩ লাখ টাকায় কাজ করলে বাকি ১০ লাখ টাকার গড়মিল নিয়ে প্রধান প্রকৌশলী স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেননি। তিনি বলেন, “পুরো বাজেটই নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হচ্ছে।”

