দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশের রেলওয়ের ১০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ ইঞ্জিন ক্রয়ে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক মহাপরিচালকসহ তিন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এতে সরকারের প্রায় ৩২২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের এবং অন্যদের লাভবান করার উদ্দেশ্যে চুক্তি ও টেন্ডারের শর্ত পরিবর্তন করেন।
প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন [আমদানি-পূর্ব পর্যবেক্ষণ] ছাড়া নিম্নমানের ইঞ্জিন গ্রহণ করা হয়। চুক্তির শর্ত পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বেশি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এর ফলে সরকারের ৩২২ কোটি ৬৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
মামলার আসামিরা হলেন— শামসুজ্জামান, রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালক; মফুরুল আলম চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস); এবং মোহাম্মদ হাসান মনসুর, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ডেভেলপমেন্ট)।
দুদক জানিয়েছে, তদন্তের সময় যদি অন্য কোনো ব্যক্তি বা সম্পদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তারা সেটিকেও আইনের আওতায় আনা হবে।