সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অবৈধ সম্পদের বিপুল নথি উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদের তদন্তে গিয়ে মোট ২২ বস্তা নথি জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘুষ, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রুকমিলা জামানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রুকমিলা জামান ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান।
মামলার আসামিদের তালিকা
মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন—
- ইউসিবি পিএলসির সাবেক পরিচালক সৈয়দ কামরুজ্জামান
- আরামিট পিএলসির এজিএম উৎপল পাল
- ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের মালিক ও আরামিটের এজিএম আব্দুল আজিজ
- ক্ল্যাসিক ট্রেডিংয়ের মালিক ও আরামিটের এজিএম মো. জাহাঙ্গীর আলম
- মডেল ট্রেডিংয়ের মালিক ও আরামিটের এও মো. মিসবাহুল আলম
- রেডিয়াস ট্রেডিংয়ের মালিক মো. ফারিদ উদ্দিন
- লুসেন্ট ট্রেডিংয়ের মালিক মো. জাহিদ
- নূর মোহাম্মদ
- মো. ইয়াসিনুর রহমান
অভিযোগের বিবরণ
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ইউসিবিএলের গ্রাহক আব্দুল কাদির মোল্লাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে এ অর্থ বিদেশে পাচার ও হস্তান্তর করা হয়।
সাইফুজ্জামান চৌধুরীর রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিচয়
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী। তিনি দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় বাবার হাত ধরে। বাবা আনোয়ারা আসনের এমপি ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে প্রবেশ করেন তিনি।
রাজনীতির পাশাপাশি ব্যাংক ও শিল্পখাতেও সক্রিয় ছিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। একইসঙ্গে আরামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির তিনবারের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

