অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে নিয়ম ভেঙে ঋণ অনুমোদন ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আব্দুল হামিদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় আত্মসাতের অঙ্ক ধরা হয়েছে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক এমডি ও সিইও সৈয়দ আব্দুল হামিদ, আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ঢাকা সার্কেল-২) মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন।
এছাড়া মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান, জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ, পরিচালক টিপু সুলতান এবং ফরহাদ মনোয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।
দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের নামে ছোলা ও গম আমদানির জন্য ঋণ অনুমোদন করা হলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিল নুরজাহান গ্রুপ ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেড। বেতনভোগী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন নেওয়া হয়।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নুরজাহান গ্রুপের একটি বেনামী প্রতিষ্ঠানের নামে শাখায় হিসাব খোলার পর সেটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েলের এমডি জহির আহমেদকে। নতুন এ প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর করা হয়। পরে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্ত মানা হয়নি এবং সুপরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের ৫১ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়, যা সুদে-আসলে দাঁড়িয়েছে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকায়।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।