বিধিবহির্ভূতভাবে ৪২ বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) সাবেক মহাপরিচালকসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ মামলা অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থার উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম। প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে বারির বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে ২০টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফল, কোটা এবং বাছাই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রথমে ১৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
কিন্তু পরবর্তী তদন্তে দেখা যায়, নিয়োগপ্রাপ্ত ১৮ জনের বাইরে আরও ৪২ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ২৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি, ১৪ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হননি, এবং তিনজন চাকরির জন্য আবেদনই করেননি। অর্থাৎ মোট ৪২ জনকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল পরস্পরের যোগসাজশে এই অবৈধ নিয়োগ নিশ্চিত করেছেন। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত শেষে দুদক এজাহার অনুমোদন দিয়েছে।
আসামিদের মধ্যে আছেন— সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল, সাবেক উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ৪২ জন নিয়োগপ্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক সহকারী। তাদের মধ্যে কিছু নাম হলো: মো. সেরাজুল ইসলাম, এ. কে. এম. মুসা মণ্ডল, মো. মুকুল মিয়া, মো. নুরুল হাসান, সুয়ান কুমার দাস, মশিউর রহমান, মো. এনামুল ইসলাম, মামুন উর রশিদ, মো. হারুন-উর-রশিদ, মো. আবু সাঈদ ভূঁইয়া, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আরিফুজ্জামান, সামসুল আলম, জি. এইচ. এম. রায়হান কবির, মো. মামুনুর রশিদ, মো. ফরহাদ আহমেদ, মো. আবুজার রহমান, সনজিত কুমার বর্মন, প্রকাশ চন্দ্র সরকার, ফিরোজ আহমদ।
তারা বর্তমানে সরেজমিন গবেষণা কেন্দ্র, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, মসলা গবেষণা কেন্দ্র, কৃষি গবেষণা উপকেন্দ্র, বীজ প্রযুক্তি বিভাগ, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

