ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৪ কোটি টাকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও সংস্কার কাবিখা/কাবিটা ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রকল্প নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-র মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা চেয়ারম্যানরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, পিআইওর বিরুদ্ধে প্রতি প্রকল্পে ২৫ শতাংশ নগদ অর্থ ঘুষ, সরকারি নিয়মের বাইরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও আয়কর এবং মাস্টাররোল জমার নামে প্রতি প্রকল্পে আরও ৩ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে।
পিআইও রেজাউল করিম বলেন, “গত শুক্রবার আমার অনুপস্থিতিতে ইউএনও সানজিদা রহমান এবং নাজির মাজহার করিম আমার অফিসে বসে ৪ কোটি টাকার প্রকল্পের তালিকা প্রস্তুত করেন এবং আমাকে তালিকায় স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি তালিকা যাচাই-বাছাই করে স্বাক্ষর করার কথা বললে ইউএনও মহোদয় ক্ষিপ্ত হন।”
এ বিষয়ে ইউএনও সানজিদা রহমান বলেন, “৪ কোটি টাকার প্রকল্পের ৮০ ভাগ বাস্তবায়ন হয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের তালিকা অনুযায়ী। বাকি ২০ ভাগ উপজেলা পরিষদের প্রকল্প। তালিকা প্রস্তুত করে পিআইওকে স্বাক্ষর করতে বললে তিনি স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। অফিস বন্ধের দিনও আমি পিআইওর অফিসে গিয়ে তালিকা প্রস্তুত করতে পারি।” দুই পক্ষের এ উত্তেজনার কারণে ঈশ্বরগঞ্জের টিআর কাবিখা প্রকল্পের বাস্তবায়নে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

