Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Sat, Nov 8, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » খেলাপি বাড়ায় ব্যাংক খাতে ঘাটতি ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা
    অপরাধ

    খেলাপি বাড়ায় ব্যাংক খাতে ঘাটতি ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা

    হাসিব উজ জামানNovember 8, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ আদায়ে ফিরেছে গতি
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    বিগত সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের ব্যাংক খাতে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। এর মাশুল এখন গুনছে গোটা আর্থিক খাত। খেলাপি ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি ও আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ২৪টি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে। এসব ব্যাংকের ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। তিন মাস আগেও, অর্থাৎ মার্চ শেষে, ২৩ ব্যাংকের ঘাটতি ছিল এক লাখ ১০ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। নতুন করে এনআরবিসি ব্যাংক ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে। তবে হাবিব ব্যাংক ঘাটতি থেকে মুক্তি পেয়েছে।

    এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলী হোসেন প্রধানিয়া জানান, “গত বছরের ডিসেম্বরে আমাদের খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২৮ শতাংশে। এতে প্রভিশন সংরক্ষণের চাপ বেড়েছে, ফলে মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে ব্যাংকটি। বাস্তব চিত্র বেরিয়ে আসায় আমরা এখন পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

    ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, আগের সরকারের সময়ে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা ঋণের নামে বের করে নেওয়া হয়। অনেক ঋণ খেলাপি হলেও তা তখন দেখানো হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর লুকানো খেলাপি ঋণ প্রকাশ পায়। এতে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় সাত লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এই বিপুল অঙ্কের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন রাখতে না পারায় ব্যাংকগুলোর মূলধন দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে পুরো আর্থিক খাত এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন শেষে ব্যাংক খাতে মূলধন ঝুঁকিজনিত সম্পদের অনুপাত (সিআরএআর) নেমে এসেছে ৪.৪৭ শতাংশে, যেখানে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ন্যূনতম ১০ শতাংশ থাকা বাধ্যতামূলক। মার্চ শেষে এই হার ছিল ৬.৭৪ শতাংশ।

    প্রতিবেদন বলছে, জুন শেষে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত, দশটি বেসরকারি, আটটি ইসলামি ধারার এবং দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে।

    রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি জনতা ব্যাংকে, ১৭ হাজার ২৫ কোটি টাকা। এরপর অগ্রণী ব্যাংকের ঘাটতি ৭ হাজার ৬৯৮ কোটি, রূপালী ব্যাংকে ৪ হাজার ১৭৩ কোটি, আর দীর্ঘদিনের কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত বেসিক ব্যাংকে ৩ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা।

    বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হেলাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, “একসময় খুব ভালো অবস্থানে ছিল বেসিক ব্যাংক। মাঝখানে বড় ক্ষতি হয়েছে। এখন আমরা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি।”

    তবে ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, “বেসিক ব্যাংককে টিকিয়ে রেখে কোনো লাভ নেই। ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ নেই। দীর্ঘদিনের লোকসানের পর এটিকে বন্ধ করে দেওয়াই উত্তম।”

    বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূলধন ঘাটতি ন্যাশনাল ব্যাংকে— ৮ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। এরপর এবি ব্যাংকের ঘাটতি ৬ হাজার ৭৭৫ কোটি, পদ্মা ব্যাংকে ৫ হাজার ৬১৯ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংকে ৪ হাজার ৫১ কোটি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ১ হাজার ৮৭৮ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকে ১ হাজার ৬৪০ কোটি, ইউসিবিতে ১ হাজার ৩৮৫ কোটি, এনআরবিসি ব্যাংকে ৩১৬ কোটি, সিটিজেন ব্যাংকে ৮৬ কোটি এবং সীমান্ত ব্যাংকে ৪৫ কোটি টাকা।

    শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি ইউনিয়ন ব্যাংকে— ২১ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। এরপর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে ১৮ হাজার ৫০৪ কোটি এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ১০ হাজার ৫০১ কোটি টাকা ঘাটতি দেখা গেছে। এছাড়া গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৫ হাজার ৫৫২ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ২ হাজার ৭৯ কোটি, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ১ হাজার ৯৭৫ কোটি, এক্সিম ব্যাংকের ৯০১ কোটি ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ২৫৪ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে।

    বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি কৃষি ব্যাংকে। শুধু বিশেষায়িত নয়, পুরো ব্যাংক খাতের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘাটতিও এই ব্যাংকের— ২৯ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। এছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঘাটতি ২ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।

    বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্বল তদারকি এবং দায়মুক্ত সংস্কৃতি ব্যাংক খাতকে এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে। যদি দ্রুত সংস্কার না হয়, তাহলে এর প্রভাব গোটা অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়বে।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অপরাধ

    শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই কলেজের সভাপতি নিয়োগ

    November 8, 2025
    অপরাধ

    কোটি টাকার প্রকল্পে প্রশ্নবিদ্ধ বাস্তবায়ন

    November 8, 2025
    ব্যাংক

    পুরনো লুটপাটের ছায়া আজও ব্যাংক খাতকে জর্জরিত করছে

    November 8, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.