নীলফামারীর ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজে কলেজ সভাপতির পদে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান সুমনের শিক্ষাগত যোগ্যতা গোপন করে তাকে সভাপতি করেছেন। একই সঙ্গে অভিযোগ রয়েছে, এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপির সদস্য হিসেবে দেখিয়ে বিদ্যুৎসাহী সদস্য করা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ১১ মার্চ ২০২৫ প্রকাশিত পরিপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ার জন্য সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। তবে সরকারি নিয়মকে উপেক্ষা করে এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সুমন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪’র পট পরিবর্তনের সুযোগে প্রথমে কলেজের এডহক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ দেন অধ্যক্ষ লতিফুল মুনতাকিম। পরবর্তীতে নিয়মিত কমিটি গঠনের পর সুমনকে গভর্নিং বডিরও সভাপতি করা হয়।
তদন্তে দেখা গেছে, আখতারুজ্জামান সুমন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্যাবস্থাপনা বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হলেও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করেননি। ডোমার পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় তার সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন শুধুমাত্র ‘সম্মান’।
অভিভাবক ও স্থানীয়দের মতে, সুমন তথ্য গোপন বা বিকৃত তথ্য দিয়ে কলেজের সভাপতি হয়েছেন। একই সঙ্গে অভিযোগ রয়েছে, কলেজ অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগের এক নেতাকে বিএনপির সদস্য দেখিয়ে বিদ্যুৎসাহী সদস্য বানিয়েছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ লতিফুল মুনতাকিম বলেন, “আমি জানতাম, আখতারুজ্জামান সুমন স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। এ কারণে তার সভাপতির প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছিলো, যা অনুমোদিত হয়েছে।”
অন্যদিকে, আখতারুজ্জামান সুমন দাবি করেন, “ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হওয়ার জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী অনার্স পাস থাকলেই যথেষ্ট।”

