শুল্ক সুবিধার অপব্যবহার ও জাল নথি ব্যবহার করে সরকারের প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক তিন কাস্টমস কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদক সূত্র জানায়, দুটি পৃথক মামলায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম মামলায় জাল দলিল তৈরি ও কম শুল্কযুক্ত এইচএস কোড ব্যবহার করে সরকারের প্রায় ৮০ কোটি ৯২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় আমদানিকারক, সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট ও কাস্টমস কর্মকর্তাসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় চীন থেকে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য আমদানির নামে ভুয়া ঘোষণা, কম শুল্কযুক্ত এইচএস কোড এবং জাল নথি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৯৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আমদানিকারক, সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট ও কাস্টমস কর্মকর্তাসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের বরাতে দুদক জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অসদাচরণে জড়িত ছিলেন। তারা ভুয়া জাহাজি নথি তৈরি ও ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব আত্মসাৎ করেন।
প্রথম মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে গ্যানী ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোহাম্মদ কাসিফ ফোরকান, মেসার্স সাই অ্যান্ড কোং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল চৌধুরী, সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম এবং আমদানিকারক শওকত আনোয়ার চৌধুরীকে।
দ্বিতীয় মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা হুমায়ন কবির ও মুজিবুর রহমান এবং সাদমান এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আবুল হাসনাত সোহাগকে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

