Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Thu, Dec 18, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » লাশ নিয়ে সবুজচক্রের ‘প্রতারণা বাণিজ্য’
    অপরাধ

    লাশ নিয়ে সবুজচক্রের ‘প্রতারণা বাণিজ্য’

    এফ. আর. ইমরানDecember 17, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    ছবি: সংগৃহীত
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কর্মরত অবস্থায় ওমানের মাসিরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার দক্ষিণ সর্ত্তার গ্রামের নূরুল আবছার। তারপর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মরদেহ দেশে এনে দাফন করা হয়।

    ওমান সরকারের আইন অনুযায়ী নূরুল আবছারের মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সরকারের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে বলা হয়। যথাযথ প্রক্রিয়ায় ওয়ারিশ সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র দাখিল করা হয়।

    ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর ওমানের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়, মোহাম্মদ সবুজ নামের এক ব্যক্তি ওমানের আইনজীবী সুলাইমান সাইফ আল বুসাইদির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন। পরে নূরুলের পরিবার খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, আইনজীবী বুসাইদির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি করে ওই অর্থ উত্তোলন করেন বুসাইদিরই গাড়িচালক মোহাম্মদ সবুজ।

    জানা গেছে, সবুজের প্রতারণার শিকার হয়ে ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন নিহতের ছেলে মো. আরিফ। এটির নম্বর সিআর-৩১৫২/২৪।

    অভিযুক্ত মোহাম্মদ সবুজ ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের কর্তারহাট বাজার এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। মামলার বাদী আরিফ বলেন, ‘সবুজ প্রতারণা করে আমার বাবার মৃত্যুর পর ওমান সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাত করেছেন। এ জন্য সবুজের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মামলায় সবুজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

    একই অভিযোগে সবুজ ও তাঁর শ্বশুর মো. মাকসুদুর রহমানসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৩ জুলাই মামলা করেছেন মো. খোরশেদ আলম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চেংখালির দুদু মিয়ার ছেলে। ওই মামলার নম্বর: সিআর-৪৭৯। খোরশেদের ছেলে ওমর ফারুক রনি ২০২৪ সালের ৪ মার্চ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরে ওমান ও বাংলাদেশ দূতাবাসের সমন্বয়ে ওমানের আইনজীবী বুসাইদির মাধ্যমে ১৫ হাজার ১৩০ ওমানি রিয়াল দিতে বলা হয়।

    তবে আইনজীবী বুসাইদি ও সবুজ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তৈরি করে ক্ষতিপূরণের ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

    এভাবেই সবুজের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা চক্র সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ওমানপ্রবাসীদের লাশ পুঁজি করে নিহতের পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা করে ওমান সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাৎ করছে। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান।

    জানা গেছে, বৈধ কর্মীদের বীমা সুবিধা থাকায় দেশটিতে বাংলাদেশি কোনো কর্মী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে এককালীন ১৫ হাজার রিয়াল (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা) মৃতের ওয়ারিশরা ক্ষতিপূরণ বাবদ পেয়ে থাকেন। এ সুযোগে সবুজের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাত্চক্র। এই চক্র কৌশলে মৃত ব্যক্তির পাসপোর্ট, মেডিক্যাল সনদ হাতিয়ে নিয়ে ও মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশদের কাছ থেকে ভুয়া আমমোক্তারনামা দেখিয়ে, যাবতীয় কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে এই চক্রের মূল হোতা ভোলার লালমোহন উপজেলার মোহাম্মদ সবুজ।

    জানা গেছে, গত মার্চে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সবুজের নামে আরো একটি মামলা করেন মো. স্বপন মিয়া। স্বপনের ভাই মো. ফুল মিয়া ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই ওমানের মাস্কাটে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। ওমানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, সবুজ ও বুসাইদি মিলে তাঁর ভাইয়ের ক্ষতিপূরণের ৪৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

    ওমানের মাস্কাটে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) মো. রাফিউল ইসলামের ২০২৪ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো চিঠি থেকে আরো কিছু তথ্য জানা গেছে। তা থেকে জানা যায়, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ওমানপ্রবাসী মোহাম্মদ ফুল মিয়া ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনায় ওমানে মৃত্যুবরণ করেন। ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়ার জন্য তাঁর বাবা-মা দূতাবাসকে আমমোক্তারনামা দেন। কিন্তু বিষয়টি দুতাবাসে নিযুক্ত আইনজীবী পরিচালনায় ব্যর্থ হন। এসংক্রান্ত মামলা সুলাইমান সাইফ আল বুসাইদি নামের ওমানের এক আইনজীবীর মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে মর্মে দূতাবাসের আইনজীবী দূতাবাসকে অবহিত করেন। মামলা সম্পর্কে বুসাইদির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দূতাবাসকে তথ্য দিতে অসহযোগিতা করেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর কাউন্সিলর (শ্রম) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলাটির বিস্তারিত তথ্য অনুসন্ধান করেন।

    আদালতের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ মার্চ আইনজীবী বুসাইদি মামলাটির ক্ষতিপূরণের অর্থ বাবদ ওমানি রিয়াল ১৫ হাজার ৩০ আদালত থেকে চেকের মাধ্যমে গ্রহণ করেছেন। মামলা পরিচালনার আমমোক্তারনামা যাচাইয়ে দেখা যায় ২০২০ সালের ২৮ জুন মৃত মোহাম্মদ ফুল মিয়ার বাবা মোহাম্মদ লোকমান মিয়া ও মাসাহানা বেগমের স্বাক্ষর জাল করে ভোলার লালমোহনের ওমানপ্রবাসী মোহাম্মদ সবুজকে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। অথচ বাস্তবে তা নিহতের মা ও বাবা অবগত ছিলেন না। পরবর্তী সময়ে ওই অর্থ চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংক সিডিএ এভিনিউ শাখায় লোকমান নামের এক ব্যক্তির নামে অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে ওমান থেকে ওমান এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে পাঠানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবেই ওই ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়।

    অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ ছাড়া নোয়াখালীর চর জব্বার থানার ওমানপ্রবাসী মোহাম্মদ সামসুল আলম ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় ওমানে মারা যান। মৃত মোহাম্মদ সামসুল আলমের ওয়ারিশদের অনুমতি ছাড়াই এই চক্র জাল আমমোক্তারনামা প্রস্তুত করে মামলাটি পরিচালনা করে আদালত থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ উত্তোলন করে। ওমানে বসবাসরত মৃতের ভাই সোলাইমান হোসেন ওই জালিয়াতির বিষয়টি দূতাবাসকে অবহিত করেন। পরে দূতাবাসের হস্তক্ষেপ ও ওমান পুলিশের সহায়তায় ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর ওমানের আইনজীবী বুসাইদি মৃতের ভাই সোলাইমান হোসেনকে ওমানি ১৪ হাজার রিয়ালের চেক দেন।

    একই ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের ওমানপ্রবাসী মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ খানের পরিবারের সঙ্গে। ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় ওমানে মৃত্যুবরণ করেন মামুনুর রশিদ। একই পন্থা অবলম্বন করে মৃত মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ খানের প্রকৃত ওয়ারিশদের অনুমতি ছাড়াই চক্রের মূল হোতা মোহাম্মদ সবুজের নামে আমমোক্তারনামা প্রস্তুত করে আদালত থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ উত্তোলন করে চক্রটি। পরবর্তী সময়ে দূতাবাসের প্রচেষ্টায় ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর ১২ হাজার ৭৫০ ওমানি রিয়ালের একটি চেক ওমানি আইনজীবী দূতাবাসকে দেন।

    এই চক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ওমানের আইনজীবী বুসাইদি ও তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িচালক মোহাম্মদ সবুজের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ওমানের আদালতে সম্প্রতি মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে ভুয়া তথ্যে হিসাব খুলে মৃত প্রবাসীদের ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ ও জালিয়াতির মাধ্যমে ওয়ারিশদের অনুমতি ছাড়াই আমমোক্তারনামা প্রস্তুত করায় মোহাম্মদ সবুজ ও লোকমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকেও আইনগত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।

    সরেজমিনে সবুজের গ্রামের বাড়ি লালমোহনের কর্তারহাটে গেলে জানা যায়, কৃষক বাবার তিন ছেলের মধ্যে মেজো মোহাম্মদ সবুজ। ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখায় অমনোযোগী ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে ধারদেনা করে তাঁকে ওমানে পাঠিয়ে দেন পরিবারের লোকজন। ওমানে গিয়ে আইনজীবী বুসাইদির গাড়িচালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন সবুজ। আইনজীবীর গাড়িচালক হওয়ায় বিভিন্নভাবে প্রতারণা রপ্ত করেন সবুজ। একপর্যায়ে তাঁর লক্ষ্য হয়ে ওঠে ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া প্রবাসীদের মরদেহ। বাংলাদেশি যেসব প্রবাসী ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান, তাঁদের লাশ নিয়ে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিতে শুরু করেন বিপুল অর্থ। প্রতারণা করেই নিজের ভাগ্য বদলেছেন সবুজ।

    ওমানে কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেই সবুজের নেতৃত্বে একটি প্রতারকচক্রের সদস্যরা হয়ে ওঠেন ওই মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন। সবুজ লালমোহনে নিজ এলাকায় কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তুলেছেন বিলাসী দোতলা বাড়ি। এছাড়া নামে-বেনামে রয়েছে তাঁর বিপুল অর্থ। দেশে থেকে সবুজের প্রতারণার কাজে সহযোগিতা করেন তাঁর শ্বশুর মো. মাকসুদুর রহমান। তিনি লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদপুর এলাকার বাসিন্দা। ওমানে মৃত লাশের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এরই মধ্যে সবুজের নামে প্রতারণার তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে হয়েছে দুটি ও হবিগঞ্জে একটি।

    সবুজের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর স্ত্রী ইফফাত আরা তিন্নি জানান, তাঁর স্বামী সবুজ ২০০৮ সালে ওমানে যান। সেখানে একজন আইনজীবীর গাড়িচালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। তিনি মাসে বাংলাদেশি ৩০-৩৫ হাজার টাকা বেতন পান। বেতনের জমানো টাকায় তিনি গ্রামে বাড়িটি নির্মাণ করেছেন। এ বাড়িটিই এখন তাদের জন্য ‘কাল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তিনি বলেন, আমার স্বামী ও বাবার নামের প্রতারণার মামলা দেওয়া হয়েছে। আমার বাবা আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। স্বামী বর্তমানে ওমানে আছেন। তাঁকে কিছু লোক ফাঁসিয়েছে।

    সবুজের বাবা আব্দুল মালেক বলেন, আমি শুনেছি আমার ছেলে সবুজ নাকি লাশের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমি ছেলের কাছ থেকে এমনটা আশা করিনি। আমি গ্রামের সাধারণ মানুষ। আমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি। সবুজের দোতালা বাড়ি করার সময় শুরুতে আমার কাছে টাকা পাঠিয়েছে। আমিই নিচতলা বাড়ির সব কাজ করিয়েছি। তবে দ্বিতীয়তলা নির্মাণের সময় আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি। সব কাজ তার শ্বশুরকে দিয়ে করিয়েছে।

    সবুজের শ্বশুর মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমি জামিন নিয়েছি। আমরা মামলা আইনিভাবে মোকাবেলা করব। যা হওয়ার তা মামলার রায়েই হবে।

    লালমোহন থানার ওসি মো. অলিউল ইসলাম বলেন, আমি লালমোহন থানায় নতুন এসেছি। আমি এখনো মামলার ওয়ারেন্টগুলো দেখতে পারিনি। এক্ষেত্রে ওয়ারেন্ট থাকলে অপরাধীকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

    লালমোহন থানার সাবেক ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি লালমোহন থানায় থাকাকালীন জানতে পেরেছি, সবুজ বড় প্রতারক। সে প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে মৃত বাংলাদেশি কর্মীদের মরদেহের ক্ষতিপূরণের অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও হয়েছে। থানায় একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এসেছে। সে দেশে না আসায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।


    ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত প্রবাসীদের ক্ষতিপূরণ টাকা আত্মসাৎ করতে মোহাম্মদ সবুজের নেতৃত্বে একটি প্রতারকচক্র গড়ে উঠেছে। তিনি ওমানের আইনজীবী বুসাইদির সহায়তায় জাল আমমোক্তারনামা ব্যবহার করে মৃতদের পরিবারের অনুমতি ছাড়া কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ হাতিয়ে নিচ্ছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিবার এ প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং সবুজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। সূত্র: কালের কন্ঠ

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    মতামত

    সারসংকটে কৃষক, সিন্ডিকেট দমন জরুরি

    December 18, 2025
    অপরাধ

    ইউসিবি ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

    December 18, 2025
    অপরাধ

    জনতা ব্যাংকের ২০৩২ কোটি টাকা আত্মসাৎ

    December 17, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.