বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের দেশটির বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
২৭ অক্টোবর, তার কার্যালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব দেলোয়ারা।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন,
“বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কোরিয়া আমাদের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার।”
তিনি কোরিয়ার সঙ্গে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, “দেশের বিভিন্ন খাতে কোরিয়ার নাগরিকরা কাজ করছেন।”
প্রতিনিধিদলের প্রতি তিনি জানান যে, “আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ও দীর্ঘমেয়াদি লীজের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে থাকা মিলগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা প্রাণ গ্রুপকে লীজের মাধ্যমে দুটি মিল হস্তান্তর করেছি।
” তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে ৩০ বছরের জন্য লীজ দেওয়া হলেও পরবর্তীতে সময়সীমা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।”
নৌখাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন,
“ডকইয়ার্ড এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অপার সুযোগ রয়েছে। এখানে যৌথ উদ্যোগ বা পিপিপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা সম্ভব।”
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের উন্নয়নকে প্রশংসা করে বলেন, “কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম পাট আমদানিকারক দেশ।”
তারা খুলনায় অবস্থিত মিলগুলো সরাসরি পরিদর্শনের আগ্রহ প্রকাশ করে এবং মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান।
এ সময়, মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ওই পরিদর্শনের ব্যাপারে সহযোগিতার নির্দেশ দেন ড. সাখাওয়াত হোসেন।
বাংলাদেশের বস্ত্র, পাট ও নৌপরিবহন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নতুন এক দ্বার উন্মোচন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।