ঢাকার বাজারে দেশি পিঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। গত সপ্তাহেও যা ১৩০টাকা থেকে ১৩৫ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে।
গতবছর এই সময়ের তুলনায় কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমলেও বেশির ভাগ পণ্যই ভোক্তাদের বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। ঢাকার প্রধান বাজারগুলো ঘুরে জানা যায়, কিছু পণ্যের দামে পার্থক্য লক্ষ্য করা গেলেও সামগ্রিক ওঠানামা খুব একটা হয়নি।
গতবছরের চেয়ে কমেছে ডিমের দাম, আমদানি করা পেঁয়াজ, রুই মাছ, কাঁচা মরিচের দাম। সবজিও ১০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে।
তবে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
কারওয়ান বাজারের এক সবজি বিক্রেতা জানান, “শীতের সবজি আসায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে চাল ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে সরকারকে বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে। “
গত বছর এই সময়ের টিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,গত বছরের তুলনায় বাজারের বেশিরভাগ সবজির দামে সামান্য কমেছে। বরবটি, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, পটল, ঝিঙা, করলা ইত্যাদি এখন ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ৬০–৮০ টাকার মধ্যে ছিল। বর্তমানে প্রতি কেজি শিম ১০০–১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের সমান। ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা ও লাউ ৩৫–৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পিঁয়াজের দাম বেড়েই যাচ্ছে।
একজন খুচরা বিক্রেতা জানান, ” দুই সপ্তাহ আগে ১৩৪ টাকা করে বিক্রি করেছি এই পেঁয়াজ। এখন সেটা ১৫৫ টাকা।’
ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আলুর দাম ৬০ টাকা কেজিতে স্থিতিশীল রয়েছে।
পাইকারি বাজারে দেশি দ্বিতীয় গ্রেডের পেঁয়াজ ১২০–১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে ব্যাবধানে এই মানের দেশি পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে ২০ টাকা বেড়েছে।”
পাইকারি এক বিক্রেতা জানান,
“এই সময়ে দেশি পেঁয়াজের সংকট থাকায় দাম প্রতি বছরই বাড়ে। আমদানি করায় এখন বাজারে পেঁয়াজের সংকট নেই। ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯২ টাকায়।’
সাধারণ ভোক্তারা জানান, “নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে সরকারকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে সরকারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কামানোর উদ্যোগ নিতে হবে।”