মহামারী চলাকালীন দেশের সরকারী বাজারে প্রায় ১.২ কোটি স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল। চাহিদার ৯০ শতাংশ পূরণ করেছে স্থানীয় কারখানাগুলো। তবে, ২০২২ ও ২০২৩ সালে, দাম বৃদ্ধি ও ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের কারণে স্মার্টফোনের চাহিদা ১ কোটির নিচে নেমে গেছে। আর বর্তমানে আনুষ্ঠানিক বাজারের চাহিদার প্রায় ৯৫ শতাংশ পূরণ করছে স্থানীয় কারখানাগুলো।
মোবাইল উৎপাদনকারীদের প্রতিযোগিতার জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে স্মার্টফোন উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ২৭.৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য মতে, ২০২৩ সালের একই সময়ে, স্মার্টফোন উত্পাদন ছিল ৫.১ মিলিয়ন ইউনিট। দেশে ৬.৫ মিলিয়ন ইউনিটের বেশি স্মার্টফোন উৎপাদিত হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে স্থানীয়ভাবে ৯.১২ লাখ স্মার্টফোন তৈরি করা হয়েছে, যা ফেব্রুয়ারিতে ৯.২৫ লাখ ইউনিটের পরের বছরের- দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন।
জুন মাসে মাসিক উৎপাদন ৫.৬২ লাখে নেমে গেলেও পরে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বর্তমানে এক ডজনেরও বেশি ব্র্যান্ড স্থানীয়ভাবে তাদের পণ্য তৈরি করে।
বর্তমানে, সাউমি বাংলাদেশের বার্ষিক স্মার্টফোন চাহিদার ১৮-২০ শতাংশ পূরণ করে।
এবছর কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানি সহজ হয়েছে। এছাড়া সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোনের চাহিদাও আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। তিনটি ব্র্যান্ড টেকনো, ইনফিনিক্স এবং আইটেলের সাথে কোম্পানিটির প্রায় 38 শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে বলে জানায়, আইস্মার্টইউ টেকনোলজি বিডি -এর সিইও রেজওয়ানুল হক। রেজওয়ানুল হক ও জিয়াউদ্দিন চৌধুরী উভয়েই গ্রে মার্কেটের পণ্য আমদানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গ্রে মার্কেট আমদানি অনুমোদিত নির্মাতাদের ব্যবসার ক্ষতি করে।
রেজওয়ানুল বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো সরকারি তথ্য নেই; যাইহোক, আমি অনুমান করি যে প্রতি বছর প্রায় ৩০-৪০ মিলিয়ন উৎপাদন ও সংস্কার করা, অনানুষ্ঠানিক বা ব্যবহৃত স্মার্টফোন দেশের বাজারে বিক্রি হয়, যা মোট চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ।
অপরদিকে, ফিচার ফোনের উৎপাদনও জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১.১৩ কোটি থেকে ১.৪৪ কোটিতে বেড়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমদানি করা স্মার্টফোন ২৫০০০ টিরও বেশি ৫জি ফোন সহ ৬৬০০০ ইউনিটে তিনগুণ বেড়েছে।
দেশীয়ভাবে তৈরি ফোনের উপর কর ২০-২৫ শতাংশ। আর আমদানি করা ফোনে মোট ৫৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, সরকারি বাজারে বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের দুই-তৃতীয়াংশের দাম ২০ হাজার টাকার নিচে। আর ৩০,০০০ টাকার বেশি দামের ফোন দেশের বার্ষিক বিক্রির মাত্র ২ শতাংশ।
রেজওয়ানুল বলেন, এ বাজারে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ প্রায় ১৩ মিলিয়ন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করে, যা বৃদ্ধির জন্য একটি বিশাল সুযোগ।