রাজধানীর তেজগাঁয় আগামী ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাঁচ দিনের ‘বহুমুখী পাটপণ্য মেলা’। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) আয়োজিত এই মেলায় পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এক ভিন্নধর্মী প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি থাকছে পাটকেন্দ্রিক রচনা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা। যার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাট নিয়ে আরও আগ্রহ তৈরি হবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।
আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জেডিপিসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেলার এই উদ্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক জিনাত আরা এবং এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশনের সভাপতি এম সাফাক হোসেন।
জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক জিনাত আরা জানান-
“পরিবেশের সুরক্ষায় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ এবং অন্যান্য পণ্য বাজারে সহজলভ্য করার জন্য সরকার ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এই মেলা সেই প্রচেষ্টারই অংশ, যা দেশের নানা প্রান্তে নিয়মিত আয়োজন করা হবে।”
এই মেলায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যেখানে প্রায় ৩০টি স্টলে পাটজাত নানা পণ্য প্রদর্শিত ও বিক্রয় করা হবে। পাট দিয়ে তৈরি ব্যাগ, অফিস সামগ্রী, হোম টেক্সটাইল, শো-পিসসহ বিভিন্ন ব্যবহারিক পণ্য এই স্টলগুলোতে পাওয়া যাবে।
মেলার উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত থাকবেন বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। পাট নিয়ে আয়োজন করা রচনা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা সম্পর্কে এইচ এন্ড এইচ ফাউন্ডেশনের সভাপতি এম সাফাক হোসেন বলেন,
“পাট বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা পাটের ইতিহাস, গুরুত্ব এবং এর বহুমুখী ব্যবহারের বিষয়ে আরও জানতে পারবে।”
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগ্রহীরা জেডিপিসি ও এইচ এন্ড এইচ ফাউন্ডেশনের পেইজ থেকে নিবন্ধন করতে পারবেন।
ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় পাটের উৎপাদন থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ সাপ্লাই চেইনের চিত্র তুলে ধরা হবে, যা দর্শকদের কাছে পাটশিল্পের জটিলতা ও এর বিশালতাকে ফুটিয়ে তুলবে। বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়েছে “সোনালী আঁশ পাট দিয়ে স্থির চিত্র প্রদর্শনী,” যা পাটপণ্যের নান্দনিকতাকে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিবেশ বান্ধব এই উদ্যোগের মাধ্যমে পলিথিন নিষিদ্ধকরণের প্রেক্ষিতে পাটজাত পণ্য ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করতে এই মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন মেলা এবং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পাটশিল্পের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং দেশের জনগণকে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তুলবে।