বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখন খাদ্যদ্রব্য মনিটরিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা বলেছি, কোন কোন পণ্যের মজুতের কী অবস্থায় আছে, কী কী আমদানি করতে হবে, সেগুলো নিয়ে কাজ করতে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়াতে বলে দিয়েছি। তারা দ্রুত পণ্য আনতে পারে। চাল-গমের বিষয়ে যতটুকু মজুত আছে, যতটুকু আমদানি দরকার, তার চেয়ে কিছুটা বেশি আমদানি ও সংগ্রহ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রয়োজন যদি এক্স হয়, তবে টার্গেট এক্স প্লাস ওয়ান করতে বলেছি।’
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো জানান, ‘আসন্ন রোজায় চাল-চিনি-গমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যেন শিগগির এগুলো আনা হয়। এসব পণ্য আমদানিতে পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমারা নিশ্চিত করেছি চাল, গমসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন- রোজার জন্য ডাল ও খেজুরের জন্য বরাদ্দের সমস্যা হবে না। কোনো ব্যাপারেই যেন ভোগ্যপণ্য বা ভোক্তাদের কোনো সমস্যা না হয়।’
‘ভোক্তা ও কৃষকদের জন্য যুক্তিপূর্ণ হয়। আমরা একটা দাম ঠিক করব, আর বাজারে এর থেকে বেশি ব্যবধানে বিক্রি হবে, এমন যেন না হয়। তাহলে বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুবিধা নেবে।‘আসন্ন রমজানে যেন পণ্যের দাম না বাড়ে- সে লক্ষ্যে দ্রুতই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম। ছোলা, ডাল, চিনি, তেল এবং খেজুর যেন দেশে ঠিক সময় আমদানি হয়’ এমনটাই জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।