বর্তমান যুগে পৃথিবীজুড়ে উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এই উত্তরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা। গত দুই দশকে বিশেষ করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তারা নিজেদের উদ্ভাবনী ধারণা, উদ্যোগ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা তাদের জন্য পরিবেশ তৈরি করেছে। তারা শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চিত্রেই অবদান রাখছে না বরং নতুন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির প্রচলন ঘটাচ্ছে।
এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের সাফল্য, সম্ভাবনা এবং সম্মুখীন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে বিশদ গবেষণা এবং বিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করার প্রয়াস চালানো হয়েছে। বিশেষভাবে ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপটে তাদের অবদান এবং সরকারের সহায়তা যে কীভাবে তাদের ব্যবসা প্রসারিত করতে সহায়ক হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট: ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে- ২০২৪ সালের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে এবং ২০২৫ সালের জন্য ৮ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প, কৃষি এবং সেবা খাত অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলেও প্রযুক্তি এবং স্টার্টআপ উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পেশাগতভাবে পরিবর্তনশীল এবং দ্রুতগতিতে ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা, তাদের শক্তিশালী কর্মদক্ষতা এবং তাদের প্রভাবশালী নেতৃত্ব বাংলাদেশকে দ্রুত একটি ডিজিটাল এবং উদ্ভাবনী অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তরুণ উদ্যোক্তা খাত- বাংলাদেশের অর্থনীতি গত দুই দশকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে। ২০২৫ সালের শুরুতে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে পৌঁছানোর পূর্বাভাস রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মতে- ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। এই প্রবৃদ্ধির মূল কারণ হলো কৃষি, তৈরিকৃত পোশাক শিল্প এবং সেবা খাতের পাশাপাশি প্রযুক্তি, স্টার্টআপ এবং উদ্যোক্তা খাতের উন্নতি। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী- ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৪৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে ২০২৫ সালের জন্য ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করার আশা করা হচ্ছে। এই সাফল্য অর্জনে তরুণ উদ্যোক্তাদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তরুণ উদ্যোক্তাদের ভূমিকা- ২০১৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তারা বিশেষভাবে প্রযুক্তি, ই-কমার্স, এগ্রিবিজনেস এবং সাসটেইনেবল উদ্যোগের মাধ্যমে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা এবং নতুন ব্যবসায়িক মডেল দেশীয় বাজারের বাইরে বিশ্ববাজারেও প্রবেশের সুযোগ তৈরি করেছে। উদাহরণ স্বরূপ- ২০২৫ সালে একাধিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে যারা বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি সেবা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে দক্ষতা অর্জন করেছে।
তরুণ উদ্যোক্তাদের সাফল্যের কাহিনী-
জিপি এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম: তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। গ্রামীণ ফোনের “জিপি এক্সিলারেটর” প্রোগ্রামটি বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। ২০১৫ সালে চালু হওয়া এই প্রোগ্রামটি তরুণ উদ্যোক্তাদের স্কেলআপ এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন স্টার্টআপের মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। ২০২৪-২০২৫ সালে ৫০টিরও বেশি স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে এবং এর মধ্যে অনেকগুলো দেশে নতুন প্রযুক্তি এবং নতুন ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও অরেঞ্জ কর্নারস বাংলাদেশ: তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) এবং “অরেঞ্জ কর্নারস বাংলাদেশ” দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে। এই উদ্যোগটির মাধ্যমে সরকারের সহযোগিতায় ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী এক কোটি তরুণকে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করে নিজেদের উদ্যোগকে আরও সফলভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছেন।
শাহিনুর ইসলাম একজন গ্রামীণ উদ্যোক্তা। যিনি পুরো শিল্পে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগিয়েছেন। শাহিনুর ইসলাম একজন তরুণ উদ্যোক্তা। তার গ্রামের ছোট একটি উদ্যোগ থেকে একটি বৃহৎ শিল্পে পরিণত করেছেন। তিনি পাট শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে মুষ্টিমেয় মানুষের জন্য কাজ সৃষ্টি করেছেন এবং তার উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখেছেন। পাট পণ্যের গুণগত মান এবং ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে তিনি সফলতার উদাহরণ। তার উদ্যোগটি আজকে এক হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং শীঘ্রই বিদেশি বাজারে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম- বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষভাবে উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। উদাহরণ স্বরূপ- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) তরুণদের জন্য বিভিন্ন স্টার্টআপ ইনকিউবেটর, ল্যাব এবং আধুনিক প্রযুক্তির ইন্ডাস্ট্রি-এ্যাকাডেমিয়া পার্টনারশিপ তৈরি করেছে। এছাড়া স্টার্টআপের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলো মেন্টরশিপ, প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকা স্টার্টআপগুলো- বর্তমানে দেশে বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ দ্রুতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলো নিম্নরূপ-
পেপারফ্লাই: পেপারফ্লাই হচ্ছে একটি অন-ডিমান্ড ডেলিভারি সেবাদাতা স্টার্টআপ। যা বাংলাদেশের শহরগুলিতে পণ্য সরবরাহের কাজ করে। এটি তরুণ উদ্যোক্তা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং বর্তমানে একাধিক আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রবেশ করেছে।
হেলথসেক: স্বাস্থ্যখাতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এনে এই স্টার্টআপটি ডিজিটাল হেলথ সার্ভিস এবং চিকিৎসক-কাস্টমার সম্পর্ক উন্নয়ন করছে। এই উদ্যোগটি স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা খাতে গুণগত উন্নতি সাধন করেছে।
গ্রিন এগ্রো: তরুণ উদ্যোক্তা এবং কৃষক সহযোগিতা দ্বারা চালিত এই উদ্যোগটি দেশে কৃষি পণ্যের দক্ষ উৎপাদন এবং পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়ন করেছে। এটি কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়েছে।
তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং সীমাবদ্ধতা- যদিও বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সম্ভাবনা বিপুল তবে বর্তমানে তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন।
আর্থিক সহযোগিতার অভাব: তরুণ উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আর্থিক সহযোগিতা। অধিকাংশ উদ্যোক্তা এখনও সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না। বিভিন্ন ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য উচ্চ সুদের হার, জটিল প্রক্রিয়া এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা তাদের জন্য অনেক বাঁধা সৃষ্টি করে আসছে।
আইনি ও প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতা: বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের জন্য আইনি ও প্রশাসনিক কাজের জটিলতা অন্যতম প্রধান বাঁধা। ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেক সময় আইনি জটিলতার কারণে লাইসেন্স প্রাপ্তি, ব্যাংকের লোন, কর প্রক্রিয়া এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের অনুমোদন প্রাপ্তি তরুণদের জন্য সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টকর হতে পারে।
দক্ষতা সম্পন্ন মানবসম্পদের অভাব: তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগে দক্ষ শ্রমিক এবং কর্মী নিয়োগ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজন এমন একটি শক্তিশালী এবং দক্ষ শ্রমবাজার, যেখানে তারা তাদের দক্ষতা ও মেধা দিয়ে কাজ করতে সক্ষম হবেন।
প্রযুক্তিগত বাঁধা এবং দক্ষতার অভাব: বর্তমানে প্রযুক্তি খাতে তরুণদের হাতে যথাযথ দক্ষতা না থাকলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হতে পারে। তারা অনেক সময় অভিজ্ঞতা ও কৌশলগত সহায়তার অভাবেও সমস্যায় পড়েন। তাই দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরী।
সরকারি সহায়তা ও নীতি- বাংলাদেশ সরকার তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে তারা তাদের কাঙ্খিত উদ্যোগে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নিম্নরূপ।
স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রকল্প: স্টার্টআপ বাংলাদেশ একটি সরকারি উদ্যোগ যা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এটি তরুণদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল সরবরাহ করবে। এর মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও সুবিধাজনক হতে সহায়ক হবে।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহায়তা: বাংলাদেশ সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যার মাধ্যমে তারা সহজ শর্তে ঋণ এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা পাচ্ছেন। নারীদের জন্য ২০২৫ সালে একটি “উইমেন এন্টারপ্রেনিউরশিপ ফান্ড” চালু করা হয়েছে। যা তাদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল উদ্যোগের সহায়তা: সরকার তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশন এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ। এই সহায়তার মাধ্যমে তরুণরা তাদের ব্যবসাকে আরো সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হচ্ছেন।
ভবিষ্যত সম্ভাবনা এবং সুপারিশ সমূহ- বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ভবিষ্যত অত্যন্ত উজ্জ্বল। দেশের অর্থনীতির দ্রুততম উন্নয়নে তাদের অবদান আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু তা অর্জন করতে হলে কয়েকটি সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ।
সহজ ঋণ সুবিধা: সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা উচিত। এতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ সহজ হবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রশিক্ষণ এবং উন্নতমানের দক্ষতা উন্নয়ন: উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আরও ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ ও প্রদান করা দরকার। উদ্যোক্তাদের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শিবির এবং কর্মশালা আয়োজন করা উচিত।
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ: বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের জন্য সুযোগ তৈরি করা উচিত। সরকারি নীতির মাধ্যমে তাদের পণ্য বিশ্বব্যাপী বিপণন ও সরবরাহের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।
টেকসই উন্নয়ন এবং সামাজিক দায়িত্ব: তরুণ উদ্যোক্তাদের টেকসই উন্নয়ন এবং সামাজিক দায়িত্বের প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত। যাতে তারা পরিবেশ এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে।
বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তারা শুধু নতুন ব্যবসা তৈরি করছেন না, তারা দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতকে পুনর্গঠন করছেন। তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা, কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্যোক্তা মনোভাব দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সরকারের সহায়তা, উপযুক্ত পরিবেশ এবং সঠিক নীতির মাধ্যমে তরুণরা আগামী দিনে আরও বড় সাফল্য অর্জন করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

