সরকার দেশের সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল ও স্বয়ংক্রিয় করতে একটি বড় প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে। যার জন্য ৩২১ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রকল্পটির নাম ‘ইম্প্রুভমেন্ট অব পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট সিস্টেম’ যার আওতায় দেশে বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠন করা হবে। প্রকল্পটির প্রস্তাবনা ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে এবং তার বাস্তবায়ন শুরু হবে জুলাই ২০২৫ থেকে যা চলবে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত।
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়ানো এবং তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামো ও ডেটা অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে ডিজিটাল সিস্টেম উন্নত করা। এছাড়া স্বয়ংক্রিয় প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণ চালু করা বিনিয়োগ পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে একীভূত করে তা আরো স্বচ্ছ এবং কার্যকর করা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান আব্দুর রউফ। যিনি আবার অতিরিক্ত সচিব তিনি বলেন, প্রকল্পটির লক্ষ্য হচ্ছে সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা আরো দক্ষ করে তোলা।
এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন টুলস ব্যবহারের জন্য কর্মকর্তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট গঠন করা হবে এবং ‘স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশন ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি প্রজেক্ট’ এর মাধ্যমে সার্বিক বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে শতভাগ আইসিটি সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ ও অনুমোদনের সময় কমানোর পাশাপাশি জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে। আরো একটি বড় পদক্ষেপ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, প্রকল্পের ডাটা বিশ্লেষণ এবং তথ্যভিত্তিক অ্যানালাইসিস চালু করা। এছাড়াও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং সিঙ্গেল সাইন সিস্টেম প্রণয়ন করা হবে। সরকারি প্ল্যাটফর্মের সাথে সম্পূর্ণ ইন্টিগ্রেশন প্রতিষ্ঠা করে রিয়েল টাইম ডেটা আদান-প্রদান এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের আধুনিক প্রশিক্ষণও এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্লেষণ, সাইবার নিরাপত্তা এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার গুণগত মান এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা হবে যা দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করবে।