বিশ্বব্যাপী ট্যাবলেটের বাজার টানা ছয় প্রান্তিক ধরে প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ট্যাবলেট সরবরাহ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৯০ লাখ ইউনিটে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ এবং আগের প্রান্তিকের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস (বর্তমানে ওমডিয়ার অংশ) জানায়, চীন এবং ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকার বাজারে ট্যাবলেটের চাহিদা বাড়ছে। এ প্রবৃদ্ধির পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি এসব অঞ্চলের বাজারেই ক্রমবর্ধমান চাহিদা।
এদিকে ক্রোমবুক বাজারেও দেখা যাচ্ছে নতুন উত্থান। ক্যানালিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিশ্বজুড়ে ক্রোমবুক সরবরাহ হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ইউনিট। এর একটি বড় অংশ এসেছে জাপানের গিগা স্কুল প্রোগ্রামের আওতায় শিক্ষা খাতে ডিভাইস কেনার কারণে।
শুধু জাপান নয়, অন্যান্য দেশেও শিক্ষা খাতে প্রযুক্তিপণ্য কেনার জন্য সরকারিভাবে বিনিয়োগ বাড়ছে। ফলে চলতি বছর এবং আগামী বছরেও ক্রোমবুকের চাহিদা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ক্যানালিস।
ক্যানালিসের গবেষণা ব্যবস্থাপক হিমানি মুক্কা বলেন, “চীনে গ্রাহকদের জন্য ভর্তুকি এবং সরকারি টেন্ডার চালু হওয়ায় ট্যাবলেট বাজারে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে গেমিং ট্যাবলেটের জনপ্রিয়তা এই চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
বিশেষ করে এশিয়ার বাজারে গেমিং ট্যাবলেটের কদর বেড়েছে। শাওমির রেডমি কে প্যাড এবং লেনোভোর লিজিয়ন ট্যাবের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ডিভাইস এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং স্মার্টফোন, স্মার্ট হোম এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) সঙ্গেও সংযুক্ত হচ্ছে।
শাওমি তাদের ‘হিউম্যান × কার × হোম’ পরিকল্পনার মাধ্যমে এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করছে, যেখানে ট্যাবলেটই হবে মূল নিয়ন্ত্রক।
বাজারে এখনো শীর্ষস্থানে আছে অ্যাপল। তারা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১ কোটি ৪১ লাখ আইপ্যাড বিক্রি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। এরপর রয়েছে স্যামসাং (৬৭ লাখ), হুয়াওয়ে (৩২ লাখ), লেনোভো (৩১ লাখ) এবং শাওমি (৩০ লাখ)।
অন্যদিকে জাপানে গিগা প্রোগ্রামের কারণে এক বছরে ক্রোমবুকের চাহিদা ২০ গুণের বেশি বেড়েছে। শুধু জাপান নয়, এশিয়ার অন্যান্য দেশও শিক্ষাখাতে ক্রোমবুক ব্যবহার বাড়াচ্ছে।
২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিশ্বব্যাপী ক্রোমবুক বাজারে শীর্ষে রয়েছে লেনোভো, যারা ৩৫ লাখ ইউনিট সরবরাহ করেছে। এরপর রয়েছে এইচপি, এসার, ডেল ও আসুস। এর মধ্যে আসুস ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

