সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ভেঙে দুটি আলাদা বিভাগ করার জন্য সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করেছে। নতুন কাঠামোয় রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠিত হবে। এতে রাজস্ব প্রশাসনের শীর্ষ ও সিনিয়র পদে দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পাবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, এখন থেকে ম্যাক্রোইকোনমি, বাণিজ্যনীতি ও পরিকল্পনা বিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তারাও রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হবেন।
গত ১২ মে জারি করা মূল অধ্যাদেশে সচিব পদে ট্যাক্স ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছিল। এ নিয়েই বড় ধরনের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজস্ব প্রশাসনে। জুনের শেষ নাগাদ আন্দোলনের প্রভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী, এনবিআর বাতিলের বিষয়টি কার্যকর হবে সরকারের নির্ধারিত তারিখ থেকে।
সরকার বলছে, কর ব্যবস্থা সংস্কার ও কর আদায় বাড়ানোর জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কর আদায়ের হার এখনও বিশ্বের মধ্যে অন্যতম নিম্নস্তরে। একই সঙ্গে এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের অংশ, যেখান থেকে বাংলাদেশ ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিয়েছে।
নতুন কাঠামোয় রাজস্ব নীতি বিভাগ কর নীতি প্রণয়ন, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক চুক্তি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। অন্যদিকে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ মাঠপর্যায়ে রাজস্ব সংগ্রহ, কর আইন বাস্তবায়ন এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার কাজ করবে।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বহু বছর ধরে বাংলাদেশকে নীতি প্রণয়ন ও রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রম আলাদা করার পরামর্শ দিয়ে আসছিল। তাদের মতে, এ উদ্যোগ স্বার্থের সংঘাত কমাবে এবং শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনবে।

