পদ্মা সেতুর জন্য ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের লাইভ পাইলটিং ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। এটি বাংলাদেশে প্রযুক্তিনির্ভর টোল ব্যবস্থার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।
গাড়ি নিবন্ধনের জন্য আবেদন ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) নির্বাহী পরিচালক ও সেতু বিভাগ সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ ফাইন্যানশিয়াল এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, প্রথমে পদ্মা সেতুতে ইটিসি চালু হবে। পরবর্তী পর্যায়ে এটি জুমনা সেতু, মুক্তারপুর সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ বিবিএয়ের অন্যান্য অবকাঠামোয় সম্প্রসারণ করা হবে।
সেতু ব্যবহারকারীরা গাড়ি নিবন্ধন করার পর যেকোনো ৭টি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা ৩৬টি ব্যাংকের অ্যাপে অগ্রিম টাকা জমা দিতে পারবেন। টোল প্লাজার ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির নাম্বার শনাক্ত করবে, সংযুক্ত অ্যাকাউন্ট থেকে টোল কেটে নেবে এবং কোনো মানুয়াল হস্তক্ষেপ ছাড়াই গেট খোলাবে।
বিবিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ড. মুহাম্মদ ফাউজুল কাবিরের সভাপতিত্বে ইটিসি সিস্টেম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পদ্মা সেতুর জন্য ইটিসি সিস্টেম দেরি না করে চালু করা হবে। ইটিসি বাস্তবায়ন হচ্ছে আইসিটি বিভাগের ‘অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের অধীনে। এতে ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম একপে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। ব্যবহারকারীরা বিকোশ, রকেট, ইউপে, নগদসহ ৭টি এমএফএস এবং ৩৬টি ব্যাংকের মাধ্যমে টোল পরিশোধ করতে পারবেন। এপ্রিল মাসে বিবিএ পুবালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও নগদের সঙ্গে টোল লেনদেন সহজ করার জন্য চুক্তি করেছিল।
বিবিএ নির্বাহী পরিচালক জানান, ইটিসি চালু হলে টোল প্লাজার সময় কমবে এবং সড়ক সংযোগে যানজটও কমবে। ভবিষ্যতে অন্যান্য অবকাঠামোর জন্যও সেবা সম্প্রসারণের পাশাপাশি ভিসা ও মাস্টারকার্ডসহ বিভিন্ন আর্থিক উপকরণ ইটিসি সিস্টেমে সংযুক্ত করা হবে।
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ইটিসি সিস্টেমের জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন ও এপিআই সংযোগের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, ৩০৭.৭০ বিলিয়ন টাকায় নির্মিত পদ্মা সেতু ২০২২ সালের জুনে উদ্বোধন করা হয়। তিন বছরের মধ্যে সেতু থেকে ২৫.৯৯ বিলিয়ন টাকার টোল সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৭.৮১ বিলিয়ন টাকা সরকারকে ঋণ পরিশোধে দেওয়া হয়েছে।

