বাংলাদেশে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ১-২ বিলিয়ন ডলার আনা সহজ নয়। এ বিষয়টি জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ বছর দেশে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ৫ বিলিয়ন ডলারের সমঝোতা করা হবে।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনে অনুষ্ঠিত ‘নেভিগেটিং ক্লাইমেট ফাইন্যান্স: মিডিয়া রিপোর্টিং’ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. সালেহউদ্দিন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শুধু আলোচনা নয়, কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অর্থ না আসলেও দেশের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্যোগ প্রতিরোধ, ক্ষয়-ক্ষতি প্রশমন এবং পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা আবশ্যক।
ড. সালেহউদ্দিন আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় টেকসই পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় অপরিহার্য। এতে শুধু অর্থের ব্যয় কমানো সম্ভব নয়, বরং প্রকল্পগুলোর দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যায়।
অনুষ্ঠানটি পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, পিকেএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা। প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ছিল মিডিয়া প্রতিনিধিদেরকে জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে আরও সচেতন করা। যাতে তারা সঠিক ও কার্যকর সংবাদ পরিবেশন করতে পারে। এ ধরনের প্রশিক্ষণ দেশের বিভিন্ন খাতের জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।
অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক তহবিলের ওপর নির্ভর করতে পারবে না। দেশের নিজস্ব উদ্যোগ, জনসচেতনতা এবং কার্যকর নীতি গ্রহণই মূল চাবিকাঠি।

