বাংলাদেশে ব্যাংকিং সমস্যার কারণে প্রায় ৪০০টি পোশাক কারখানা উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, সরকারের নীতি সহায়তা পেলে এসব কারখানা পুনরায় চালু হয়ে এক লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব।
গতকাল রবিবার উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ব্যাংকিং সমস্যা নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শেষে সংগঠনটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। সভায় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান (বাবু) সভাপতিত্ব করেন। এতে ৭০টিরও বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, এক্সিট পলিসি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম এবং ওয়ান স্টপ সেল সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া।
খেলাপি ঋণ নীতিমালা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। সদস্যরা প্রস্তাব দেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের অধীনে ঋণের মেয়াদ বর্তমান ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হোক। তারা বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সংক্ষিপ্ত সময়ে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এছাড়া ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্ট কমানোর বিষয়েও মত বিনিময় করা হয়। সদস্যরা সহনশীল এক্সিট পলিসির প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। তারা বলেন, এটি ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ দেবে।
সভায় আরও বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতি সহায়তা দিচ্ছে, তা যেন শুধুমাত্র বড় রপ্তানিকারকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলোও যেন এই সুবিধা পায়, সে ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। বিজিএমইএ সদস্যরা পোশাক খাতে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় থাকা ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের সমস্যার সমাধানে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি জানান।
সভায় সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, উত্থাপিত সব বিষয় নিয়ে বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং সমস্যায় পড়া কারখানাগুলোকে তাদের সমস্যাগুলো লিখিত আকারে বিজিএমইএকে দ্রুত জানাতে আহ্বান জানান তিনি।

