গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল বহুজাতিক কোম্পানির ট্রান্সফার প্রাইসিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে কর্মকর্তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানো, যাতে অর্থ পাচার প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ। তিনি বলেন, “বিশ্বায়নের যুগে ট্রান্সফার প্রাইসিং গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর অপব্যবহারের ঝুঁকি বড়। অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান কৌশলে অর্থ পাচার করে, যা রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ ফেলে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, “বর্তমান ব্যাংকিং খাত নানা চ্যালেঞ্জের মুখে। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন আরও কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষণে সহায়তা করবে।”
কর্মশালায় পরিচালক মাহবুবুল আলম বৈদেশিক মুদ্রা সংকট নিরসনে ট্রেড বেইজড মানিলন্ডারিং ও হুন্ডি প্রতিরোধের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রশিক্ষণের প্রথম সেশনে আলোচনা হয় ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের পটভূমি, বাংলাদেশে এর প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্টিং পদ্ধতি নিয়ে। দ্বিতীয় সেশনে তুলে ধরা হয় ব্রাঞ্চ অফিস, কর-অবকাশপ্রাপ্ত কোম্পানি, ইপিজেড কোম্পানি প্রভৃতির জন্য রিপোর্টিং প্রয়োজনীয়তা, বেজ এরোশন অ্যান্ড প্রফিট শিফটিং এবং ডিজিটাল অর্থনীতির মতো নতুন চ্যালেঞ্জ।

