বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ ও হয়রানিমুক্ত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এজন্য তারা ৭ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে।
গতকাল বুধবার এনবিআর আয়োজিত ‘মিট দ্য বিজনেস’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহমান খান। বিজিএমইএ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে:
- নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধা চালু এবং বন্ড লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা বাতিল।
- এফওসি ভিত্তিতে কাঁচামাল আমদানির প্রক্রিয়া আরও সহজ করা।
- ওয়াশিং, প্রিন্টিং, ডাইং ও এমব্রয়ডারির মতো সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান।
- সাব-কন্ট্রাক্ট কার্যক্রম সহজ ও দ্রুত করা।
- ওভেন গার্মেন্টস উৎপাদনে অপচয়ের হার বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পুনঃনির্ধারণ।
- বন্ড লাইসেন্সে এইচ.এস. কোড সংযোজনের জটিলতা দূর করা।
- আসাইকুডা সিস্টেমের সার্ভার সমস্যার সমাধান করে রপ্তানি প্রক্রিয়া দ্রুততর করা।
সভায় বিজিএমইএয়ের সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী উপস্থিত থেকে পোশাক শিল্পের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। তার সঙ্গে ছিলেন সমিতির পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম। এছাড়া এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বিসিআইসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন, চেম্বার ও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।
বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা বলেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে পোশাক শিল্প গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ ও হয়রানিমুক্ত না হলে দেশের প্রধান শিল্পখাতকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। বিজিএমইএ আশা করছে, এই আলোচনার মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরও সহজ হবে। ফলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পখাতের উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।