২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এক বছরের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা, কূটনৈতিক টানাপড়েন এবং পারস্পরিক বাগ্যুদ্ধে জর্জরিত। যদিও রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে, দেশের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান ভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তুলছে।
আমদানি-রফতানির তথ্য দেখাচ্ছে, খাদ্যশস্য, তুলা, সুতা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পর্যন্ত ভারতের ভূ-অর্থনৈতিক প্রভাব এখনো বাংলাদেশের ওপর অক্ষুণ্ণ। অর্থাৎ রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝেও বাস্তব বাজার নির্ভরতার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান। ভূ-অর্থনৈতিক প্রভাব বলতে বোঝায়, একটি দেশের ওপর অন্য দেশের এমন প্রভাব, যা শুধুমাত্র বাজার বা বাণিজ্য সীমাবদ্ধ নয়। এটি কৌশলগত নির্ভরশীলতাও তৈরি করে। মূলত এটি বাণিজ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচামাল, জ্বালানি সরবরাহ এবং অবকাঠামোর মাধ্যমে বিস্তার পায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তিনটি দিক থেকে ভারতীয় প্রভাব স্পষ্ট। প্রথম, ভৌগোলিক সীমান্ত ঘেরা অবস্থান। দ্বিতীয়, খাদ্য ও জ্বালানি আমদানিতে নির্ভরতা। তৃতীয়, পোশাক শিল্পের কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীলতা। বিশেষ করে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে এই নির্ভরতা অনেকাংশে বেড়েছে।
শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানে সীমাবদ্ধতা এনেছে। দুই দেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা কূটনৈতিক বাগ্যুদ্ধের পর, উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে বাস্তব পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, রাজনৈতিক উত্তেজনা বাণিজ্যের ওপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশে রফতানি করেছে প্রায় ১ হাজার ১৪৯ কোটি ডলারের পণ্য। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানি ছিল ১ হাজার ১০৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ রফতানি বেড়েছে ৩.৭৯ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে, রাজনৈতিক টানাপড়েন থাকা সত্ত্বেও ভারতের আমদানির ধারা বাংলাদেশের জন্য স্থিতিশীল এবং কিছু ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, “দুই দেশে যেসব খাতে ঘাটতি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য রয়েছে, তা আমদানি-রফতানি করা সম্ভব হওয়ায় এখনো প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক রয়েছে। তবে যেসব বন্দরে আগে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ ট্রাক আমদানি হতো, তা এখন ১৫০ ট্রাকে নেমে এসেছে।” তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে আগের মতো ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় গতিশীল হতে পারে। “২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে দুই দেশের সম্পর্ক ভালো ছিল, ব্যবসা-বাণিজ্য দ্রুত গতিতে চলত। তবে পরে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় পরিমাণ কমেছে। আশা করি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে পরিস্থিতি উন্নতি হবে।”
বাংলাদেশে খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে যখনই অভ্যন্তরীণ সংকট তৈরি হয়, তখনই ভারতের আমদানিই সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে ওঠে। চাল, পেঁয়াজের মতো প্রতিদিনের ভোগ্যপণ্য এর প্রধান উদাহরণ। অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে ঘাটতি, মৌসুমি সরবরাহে সমস্যা বা বাজারে কারসাজি যেকোনো কারণে সংকট তৈরি হোক না কেন, আমদানি একাধিক ক্ষেত্রে ভারত থেকেই আসে। সম্প্রতি দেশে পেঁয়াজের দাম চড়া হয়ে ওঠে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বাড়তে শুরু করলে ভোক্তাদের মধ্যে চাপ তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগস্টে সরকার ভারতের দিক থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। দিনাজপুরের হিলি ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ট্রাকের মাধ্যমে আমদানির কাজ শুরু হয়। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসার পরপরই প্রভাব স্পষ্ট হয়। পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কমে আসে, যা খুচরা বাজারেও ধীরে ধীরে প্রতিফলিত হয়।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ-রসুনসহ একই জাতীয় পণ্য আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ২০৭ কোটি ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এটি বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ২১১ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.৭৮ শতাংশ। এ প্রমাণ করে, অভ্যন্তরীণ সংকট থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারে ভারতের ভূমিকা অক্ষুণ্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। চালের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি পেঁয়াজের মতো। চলতি বোরো মৌসুমের শেষে হঠাৎ বাজারে চালের দাম বেড়ে যায়। উৎপাদনের ঘাটতি ও বাজারে অস্থিরতার কারণে দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ভোক্তাদের ক্ষোভ কমাতে এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। ১২ আগস্ট থেকে আমদানিকারকদের জন্য ইমপোর্ট পারমিশন (আইপি) জারি করা হয়। এরপরই ভারত থেকে চাল আসতে শুরু করে। বাজারে ভারতীয় চালের আগমন দাম কমাতে সাহায্য করে।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে চাল এসেছে মাত্র ১৬ কোটি ডলার কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এটি লাফিয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ কোটি ডলারে অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে বৃদ্ধি হয়েছে ২,১৭৪.১৬ শতাংশ। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সম্প্রতি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক টানাপড়েন দেখা গেলেও তা ভারতের রফতানিতে বড় কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি, বরং প্রবৃদ্ধি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে যে উভয় দেশের মধ্যে পণ্যের চাহিদা, বাজারের সক্ষমতা ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা বাস্তব ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ভারতীয় পণ্যের প্রতি বাংলাদেশের বাজারে গ্রহণযোগ্যতা, ভৌগোলিক নিকটতা, সাংস্কৃতিক মিল ও আন্তঃনির্ভরশীলতা বাণিজ্যকে স্থিতিশীল করছে। বিশেষ করে রফতানি খাতে কাঁচামাল, কৃষিপণ্য, নির্মাণসামগ্রী ও ভোগ্যপণ্য—এসব ক্ষেত্রে ভারতের পণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিভাগের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে তুলা আমদানি হয়েছিল প্রায় ২,৩৬৯ কোটি ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২,৮০৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে তুলা আমদানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮.৩৪ শতাংশ। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও, পাঁচ শতাধিক সুতাকল বা স্পিনিং মিল থাকা সত্ত্বেও দেশকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সুতা আমদানি করতে হয়। এর বেশির ভাগই আসে ভারত থেকে।
এ বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ সরকার স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। তবে বিধিনিষেধের পরও ভারত থেকে সুতা আমদানি মাত্র সামান্য কমে। কারণ সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যানুযায়ী, স্থলবন্দর বন্ধের আগে প্রতি মাসে গড়ে ৫ কোটি কেজি সুতা আসত। পরে মে ও জুনে গড়ে ৪ কোটি কেজি আসে। জুলাইয়ে আবার ৫ কোটি কেজি ছাড়িয়ে যায়। এ থেকে স্পষ্ট হয়, তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে ভারতের প্রভাব গভীর। রাজনৈতিক টানাপড়েন বা সাময়িক নীতিগত সীমাবদ্ধতা থাকলেও বাণিজ্যের প্রবাহ বন্ধ হচ্ছে না। এভাবেই ভারতের ভূ-অর্থনৈতিক প্রভাব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানিমুখী খাতেও অক্ষুণ্ণ থেকে যাচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ মার্কিন বাজার থেকে তুলা আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগস্টে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। তিনটি বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান ১৯ হাজার টন তুলা আমদানির জন্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। এর মধ্যে:
- সালমা গ্রুপ কার্গিল ইনকরপোরেট থেকে ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের ৬ হাজার টন তুলা আমদানির চুক্তি করে।
- এশিয়া কম্পোজিট একই ধরনের চুক্তি করে।
- মোশাররফ গ্রুপ লুইস ড্রেফুস গ্রুপ থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের ৭ হাজার টন তুলা আমদানির চুক্তি করে।
এতে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত বৈশ্বিক বাজারে নির্ভরশীলতা হ্রাসের চেষ্টা করছে। বিদ্যুৎ খাতেও ভারতের প্রভাব অক্ষুণ্ণ। বাংলাদেশ প্রতিদিন গড়ে ১,৭৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করছে। দেশের মোট চাহিদার ১৫ শতাংশের বেশি এই সরবরাহ দিয়ে পূরণ হচ্ছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ঘাটতি ও বিপুল বকেয়া পাওনার কারণে জাতীয় গ্রিড ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আদানি গ্রুপের বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। তবে বিদ্যুৎ ক্রয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আদানির পাওনা দ্রুত পরিশোধ করছে, যা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের তুলনায় দ্রুত।
বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ তাত্ক্ষণিকভাবে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি না করলেও চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। তবে পর্যাপ্ত জ্বালানির সরবরাহ না থাকায় অনেক কেন্দ্র স্থগিত রাখতে হচ্ছে। বিশেষ করে কয়লাভিত্তিক ৭ হাজার মেগাওয়াট কেন্দ্র চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি না থাকায় বিপিডিবি এখনো আমদানির ওপর নির্ভরশীল। গ্যাসভিত্তিক বড় কেন্দ্রগুলো সার্বক্ষণিক চালানোর আগে আমদানির বিকল্প নেই। বিপিডিবির হিসাব অনুযায়ী:
- গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রের সক্ষমতা প্রায় ১২৫০০ মেগাওয়াট, ব্যবহারযোগ্য মাত্র ৫৫০০ মেগাওয়াট।
- ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্রের সক্ষমতা ৫৫৮১ মেগাওয়াট, ব্যবহার করা যায় ১৫০০–২৫০০ মেগাওয়াট।
- কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের সক্ষমতা ৭১৭৯ মেগাওয়াট, উৎপাদন সম্ভব সর্বোচ্চ ৪৫০০ মেগাওয়াট।
- সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা শুধুমাত্র দিনের বেলায় ব্যবহারযোগ্য।
এ ছাড়াও জ্বালানি খাতেও ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। সীমান্তবর্তী পাইপলাইনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ তেল বাংলাদেশে আসে। অর্থাৎ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও জ্বালানি সংকট ও সরবরাহ চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভারতের ওপর নির্ভরশীল। সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বণিক বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের কয়েকটি স্তর রয়েছে। এর মধ্যে কিছু স্তর এমন যেগুলোকে বিচ্ছিন্ন করা প্রায় অসম্ভব। ভৌগোলিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ তিনদিকে ভারতের সীমান্তে ঘেরা। এ অবস্থানকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। চাইলে তো সীমান্ত সরানোও সম্ভব নয়।”
তিনি বাণিজ্য প্রসঙ্গে বলেন, “প্রয়োজন থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্য অব্যাহত থাকবে। বিকল্প উৎস খোঁজা যেতে পারে, সরকারের দায়িত্বও এটাই। তবে বিকল্প উৎস থেকে আমদানি কত দ্রুত সম্ভব হবে এবং এতে খরচ বাড়বে কিনা—এসব বিষয় তো রয়েই গেছে।” হুমায়ুন কবির বণিক আরও বলেন, “পারস্পরিক সম্পর্কের কিছু দিক পরিবর্তনের সুযোগ নেই। মূল সমস্যা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে রাজনৈতিক দিকটি বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। তবে কিছু বিষয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক সহজে থামানো যায় না।” এ মন্তব্য নির্দেশ করে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কূটনৈতিক টানাপড়েন থাকলেও ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে স্থিতিশীল রাখছে।