যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার জ্বালানি তেল ক্রয়কে কেন্দ্র করে চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নিয়েছেন। এই কৌশল নিয়ে বেইজিং তাকে সতর্ক করেছেন। চীন জানিয়েছে, ট্রাম্প এই নীতি অব্যাহত রাখলে ফলাফল ‘ভালো হবে না’।
গত সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান ব্রিফিংয়ে বলেন, “রুশ তেল কেনাকে ইস্যু করে চীনের ওপর চাপ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা পদক্ষেপ। এটি গুন্ডামি এবং অর্থনৈতিক জবরদস্তির নতুন উদাহরণ। চীন রাশিয়ার কাছ থেকে সম্পূর্ণ বৈধভাবে তেল কিনছে। এটি দুই দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার অংশ। জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে চীন কখনও পিছু হটে না।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ তেলের দামও নির্ধারণ করা হয়েছে। তবু চীন ও ভারত এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই দুই দেশই রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।
সম্প্রতি এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রুশ তেল ক্রয়ের মাধ্যমে চীন ও ভারত রাশিয়ার যুদ্ধকে অর্থ যোগাচ্ছে। ভারতের ওপর ইতোমধ্যেই ৫০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। চীনের ওপর এখনও শুল্ক আরোপ হয়নি। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন—বেইজিং যদি দ্রুত রুশ তেল ক্রয় বন্ধ না করে, তাহলে চীনের ওপর ১০০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হবে।
বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও তিনি চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর জন্য প্রভাবিত করছেন। লিন জিয়ান ব্রিফিংয়ে বলেন, “অতীতে বহুবার প্রমাণিত হয়েছে যে জবরদস্তি ও চাপ কখনও হৃদয়-মন জয় করতে পারে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানও হয় না।”