জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবার চালু করেছে ‘বাজারদর’ নামের একটি নতুন অ্যাপ, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ প্রতিদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহজেই জানতে পারবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে শতাধিক পণ্যের বাজারদর হালনাগাদ করা হচ্ছে, ফলে বাজারে গিয়ে দ্বিধা বা বিভ্রান্তির সুযোগ কমছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল জব্বার মণ্ডল ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, “আপনি প্রতিদিন বাজারে যান, কিন্তু সঠিক দাম জানেন না? আর চিন্তা নেই। ‘বাজারদর’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের দাম জানা যাবে। গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন এবং সচেতন ভোক্তা হোন।”
অ্যাপে দুইটি মূল বিভাগ আছে—‘খাদ্যসামগ্রী’ এবং ‘অন্যান্য’।
খাদ্যসামগ্রী বিভাগে চাল, আটা/ময়দা, ভোজ্যতেল, চিনি, লবণ, ডাল, আলু, মসলা, মাছ, গোশত, দুধ, ডিম, শাকসবজি ও ফলের দাম প্রতিদিন হালনাগাদ করা হচ্ছে। বিশেষ করে চালের পাঁচটি প্রকার—সরু (নাজির/মিনিকেট), মাঝারি (পাইজাম/আটাশ), মোটা (স্বর্ণা/চায়না ইরি), সুগন্ধি এবং কাটারিভোগের দাম সহজেই দেখা যাবে।
আটা/ময়দা ও চিনি উভয়েরই খোলা ও প্যাকেটজাত মূল্যের তথ্য দেওয়া হয়েছে। ডালের ক্ষেত্রে মশুর (বড়, মাঝারি, ছোট), মুগ (সরু ও মোটা) এবং এ্যাংকর ডালের দাম পাওয়া যাবে। আলু, দেশি মশলা, রসুন, মরিচ, হলুদ, আদা, জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনিয়া ও তেজপাতার প্রতিদিনের বাজারদরও এখানে দেখার সুযোগ আছে।
মাছ ও মাংস বিভাগে রয়েছে রুই, কাতল, চিতল, বোয়াল, আইড়, ইলিশ, চিংড়ি, মাগুর, কই, তেলাপিয়া, টেংরা, পাবদা, গরু, মহিষ, খাসি, মুরগী, হাঁস, কবুতর ও কোয়েল পাখির দাম।
ডিম ও দুধ—তরল দুধ, মুরগি, হাঁস ও কোয়েল পাখির ডিমের প্রতিদিনের দাম জানা যাবে। শাক-সবজি ও ফলের বিভাগে রয়েছে পুঁইশাক, কলমি শাক, বেগুন, বরবটি, কুমড়া, টমেটো, লেবু, কলা, পেয়ারা, কাঁঠাল, আম, আপেল, মালটা, আনারস, আঙ্গুর ও ড্রাগন ফলের বাজারদর।
অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে জ্বালানি পণ্য—এলপিজি গ্যাস (১২ কেজি, ৩০ কেজি, ৩৫ কেজি), ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের দাম হালনাগাদ করা হচ্ছে।
গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। ব্যবহারকারীর বিভাগ ও জেলা নিবন্ধন করার পর, ‘খাদ্যসামগ্রী’ বা ‘অন্যান্য’ অপশন থেকে পছন্দমতো পণ্য সিলেক্ট করে প্রতিদিনের দাম জানা যাবে। অ্যাপটি যে কোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যবহারযোগ্য এবং সুবিধার জন্য অফলাইনেও কাজ করছে।
এভাবে সাধারণ মানুষ সহজেই বাজারদরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে, অসাধু ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত দাম ও সিন্ডিকেটের প্রভাব কমিয়ে সচেতন ভোক্তা হিসেবে বাজারে ক্রয়-ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবে।