রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) চীনে নির্মিত দুটি নতুন জাহাজ কিনতে হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসির সঙ্গে চুক্তি করবে। কোম্পানিটির পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে, দুটি জাহাজ কেনার প্রস্তাব নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় গত ১২ আগস্ট সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে উপস্থাপন করে। দরপত্র প্রক্রিয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির (টিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসির কাছ থেকে জাহাজ দুটি ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯৮ হাজার ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত হয়। জাহাজ দুটি বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় করা হবে।
যদিও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে, জাহাজ দুটি চীনে নির্মিত হচ্ছে। চীনের নির্মাণ স্থান থেকে জাহাজ দুটি বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
আর্থিক দিক থেকে, সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) বিএসসির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৩৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১১ টাকা ৫ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৯৫ পয়সা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৪৭ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৫ শেষে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৮ টাকা ৪৯ পয়সায়।
২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিএসসির পর্ষদ ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ বছরের ইপিএস হয়েছে ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা, আগের বছর ১৬ টাকা ১৫ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৯৭ পয়সা।
২০২২-২৩ হিসাব বছরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ইপিএস হয়েছে ১৬ টাকা ১৫ পয়সা, আগের বছর ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা ৬৭ পয়সায়।
২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীরা ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছে। ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা, আগের বছর ৪ টাকা ৭২ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৫২ পয়সায়।
২০২০-২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীরা ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছে। ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৭২ পয়সা, আগের বছর ২ টাকা ৭২ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ২৮ পয়সায়।
১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিএসসির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ৯৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪০। এর মধ্যে ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ সরকারের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

