Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Sun, Sep 21, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • মতামত
    • সাহিত্য
    • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » চড়া সুদে ধার নিয়ে শোধ হচ্ছে পুরোনো ঋণ
    অর্থনীতি

    চড়া সুদে ধার নিয়ে শোধ হচ্ছে পুরোনো ঋণ

    কাজি হেলালSeptember 21, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    ঋণে
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    বাংলাদেশের গ্রামীণ ও নগরের নিম্নবিত্ত পরিবার, দিনমজুর, কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কিংবা নারী উদ্যোক্তা, অর্থকষ্টে পড়লে তাদের প্রথম ভরসা হয় ঋণ। কিন্তু সময়মতো মূলধন ফেরত দিতে না পারলে সুদের বোঝা আর নতুন ধার নেওয়ার চাপ দ্রুত তাদের জীবনে দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে। পুরোনো ঋণ শোধ করতে নতুন ঋণ নিতে গিয়ে তারা এক দুষ্টচক্রে বন্দি হয়, যার প্রভাব পড়ে শুধু ব্যক্তির আর্থিক অবস্থায় নয়; পরিবারের খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এমনকি মানসিক স্থিতিশীলতার ওপরও।

    এই পরিস্থিতির অন্যতম কারণ হলো ঋণের সহজলভ্যতায় বৈষম্য। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে না পেরে অনেকেই বাধ্য হন অনানুষ্ঠানিক ঋণদাতার কাছে যেতে, যেখানে কার্যকর সুদের হার অত্যন্ত বেশি। গবেষণা বলছে, মাইক্রোফাইন্যান্স ও আনুষ্ঠানিক ঋণের প্রসার ঘটলেও অনানুষ্ঠানিক ঋণের সুদ কমেনি; বরং অনেক ক্ষেত্রে বেড়েছে। এর ফলে নিম্নআয়ের মানুষ আরও দ্রুত দারিদ্র্যের গভীরে নেমে যাচ্ছে।

    শুধু পরিবার নয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রও একই ফাঁদে আটকা পড়েছে। বৈদেশিক চাপ, মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রানীতির কড়াকড়ির কারণে ঋণের খরচ বেড়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সরকারের রাজস্ব আয় প্রত্যাশার চেয়ে কম হলেও ব্যয় বেড়েছে, আর আগের সরকারের রেখে যাওয়া বিপুল ঋণ পরিশোধে নতুন করে ঋণ নিতে হচ্ছে। পুরোনো ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা, যা শোধ করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই নতুন করে ১ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা ধার করেছে। আর এর বড় অংশই ব্যয় হয়েছে পুরোনো ঋণ মেটাতে। এভাবে ঋণ শোধের জন্য ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কেবল সাধারণ মানুষের নয়, রাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করছে।

    ঋণের বর্তমান পরিস্থিতি: বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে সরকারের ঋণের পরিমাণ বিপুল হারে বেড়েছে এবং এই ঋণ বৃদ্ধি শুধু অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই নয়, বৈদেশিক মেয়াদেও বাড়ছে। একটি উপাত্ত বলছে, ২০০৯ সালের জুন মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এরপর থেকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের বোঝা এমনভাবে বেড়েছে যে, সরকারের ঋণ এখন প্রায় ১২ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা পৌঁছেছে। এই ঋণ বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা মাত্র অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে।

    বৈদেশিক ঋণও ততটাই উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে: ২০০৯-এ সরকারের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ২ হাজার ২৭৯ কোটি ডলার। অথচ গত অর্থবছরের জুনে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ২৮১ কোটি ডলার। বর্তমানে বাজারে ডলারের বিনিময় হারে এই ঋণ স্থানীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় প্রায় ৭ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা।

    ঋণ বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় চাপ এসেছে সুদের হার এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে। ঋণ নেওয়ার সময় সুদের হার প্রায় ৫-৬ শতাংশ হলেও, বর্তমান সময় সুদ বেড়ে ৯-১০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এছাড়া দণ্ড-সুদ (penalty interest) আরোপ এবং মেয়াদ বাড়ানোর কারণে ঋণ ফেরত দিতে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে অর্থাৎ, ১০০ টাকা মূল ঋণের জন্য প্রায় ১৫০ টাকা পরিশোধ করতে হয়।

    বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ডোমেস্টিক উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের সুদের হারও বেড়েছে। আগে যেখানে স্থানীয় ঋণ ৪-৬ শতাংশ সুদে পাওয়া যেত, এখন সেই হার ৮-১২ শতাংশ বা তারও বেশি। এসব পরিস্থিতিতে সরকার ঋণ পরিশোধে নতুন ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে; ডলারের দাম বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা সংকট এবং সুদের বৃদ্ধি মিলিয়ে ঋণের বোঝা আরও ভারী হয়ে উঠেছে।

    কে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে?

    চড়া সুদে নতুন ঋণ নিয়ে পুরোনো ঋণ শোধ করা মূলতঃ এক ধরনের আর্থিক ফাঁদ, যা ব্যক্তি থেকে শুরু করে রাষ্ট্র, উভয় ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে ঋণের বোঝা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি আর্থিক স্থিতিশীলতাও নষ্ট হয়।

    ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। উচ্চ সুদের ঋণ নিলে পরিশোধের পরিমাণ দ্রুত বাড়তে থাকে। বর্তমান আয়ের বড় অংশ সুদ শোধে চলে যাওয়ায় সঞ্চয় কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক পরিবারকে এক ঋণ শোধ করতে গিয়ে আরেকটি ঋণের ফাঁদে পড়তে হয়। এর ফলে খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা মেটানোও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘ সময় ধরে এই চক্র চলতে থাকলে মানুষ স্থায়ী আর্থিক সংকটে পড়ে যায়, মানসিক চাপও বাড়ে।

    অন্যদিকে একই বাস্তবতা দেশের অর্থনীতিতেও প্রতিফলিত হয়। যখন বিপুল সংখ্যক মানুষ চড়া সুদে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তখন তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। বাজারে চাহিদা কমে গেলে ব্যবসা ও বিনিয়োগেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ব্যবসায়ীরা যদি উচ্চ সুদে ঋণ নেয়, তবে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে পণ্য ও সেবার দামে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। আর এতে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়ে।

    সরকারি পর্যায়েও পরিস্থিতি ভিন্ন নয়। আগের ঋণের দায় শোধ করতে হলে নতুন করে ঋণ নিতে হয়, আর তা যদি চড়া সুদে নেওয়া হয়, তবে বাজেটের বড় অংশ উন্নয়ন প্রকল্পে না গিয়ে সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়। এতে অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা কর্মসংস্থানের মতো খাতগুলোতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়। একই সঙ্গে বৈদেশিক ঋণ শোধে ডলারের উচ্চমূল্য ও সুদের হার বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত ব্যয় সরকারের অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়।

    ফলে বলা যায়, চড়া সুদে পুরোনো ঋণ পরিশোধ করা ব্যক্তি ও রাষ্ট্র, উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। এটি কোনো টেকসই সমাধান নয়; বরং এক ধরনের আর্থিক কৌশলগত দুর্বলতা, যা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতি ও সমাজকে আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।

    চড়া সুদে নতুন ঋণ নিয়ে পুরোনো ঋণ শোধ করার প্রবণতা আসলে সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে। এতে ঋণের আসল টাকা কমার বদলে বোঝা ক্রমেই বাড়তে থাকে। নতুন ঋণের ওপর দেওয়া অতিরিক্ত সুদ পুরোনো ঋণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মোট দেনা বাড়ায়, আর শোধ করতে গিয়ে মাসিক খরচ ও আর্থিক চাপ বেড়ে যায়। ফলে সঞ্চয় বা বিনিয়োগের মতো প্রয়োজনীয় আর্থিক পরিকল্পনা ভেস্তে যায়, মানুষ দীর্ঘমেয়াদি সংকটে আটকে পড়ে।

    এই অবস্থায় ঋণগ্রহীতা কেবল একটি ঋণ মেটাতে আরেকটি ঋণ নিতে বাধ্য হন, যা ধীরে ধীরে এক ধরনের “ঋণচক্র” তৈরি করে। এই চক্র থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, আর সময় যত বাড়ে ঋণের ভারও তত বাড়ে। এর ফলে মূল ঋণ কমার বদলে একই রকম থেকে যায় বা আরও বেড়ে যায়। ঋণ শোধে নিয়মিত ব্যর্থতা হলে ক্রেডিট রিপোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ভবিষ্যতে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনাকেও নষ্ট করে দেয়।

    বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সমস্যাটি আরও তীব্র হয়েছে। ডলারের উচ্চমূল্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত সুদের হার বৃদ্ধি এবং ব্যাংক ও বেসরকারি খাতে ঋণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যক্তিগত ও সরকারি উভয় স্তরেই ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। সরকার পুরোনো বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে নতুন ঋণ নিচ্ছে, যেখানে সুদের হার ৯–১০ শতাংশের বেশি, সঙ্গে দণ্ডসুদও যোগ হচ্ছে। ব্যক্তিগত খাতে সুদেঅনেক পরিবার, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ, মাইক্রোফাইন্যান্স বা অনানুষ্ঠানিক উৎস থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে পুরোনো দেনা মেটাতে বাধ্য হচ্ছে।

    ফলে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পুরোনো ঋণ শোধ করা কেবল সাময়িক স্বস্তি দেয়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্বাধীনতা নষ্ট করে এবং রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি পর্যন্ত অস্থিতিশীল করে তোলে। এটি এক ধরনের কৌশলগত দুর্বলতা, যা ব্যক্তি ও সরকার, দু’পক্ষকেই ক্রমশ: ঋণের ফাঁদে আবদ্ধ করে ফেলছে।

    এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার উপায়: চড়া সুদে নতুন ঋণ নিয়ে পুরোনো ঋণ শোধ করার প্রবণতা থেকে বের হতে হলে প্রয়োজন সুসংগঠিত আর্থিক পরিকল্পনা ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। এর প্রথম ধাপ হলো নিজের সকল ঋণের পূর্ণাঙ্গ হিসাব রাখা। কোন ঋণের সুদের হার কত, কত টাকা বাকি আছে এবং কোন ঋণগুলো সবচেয়ে বেশি চাপ তৈরি করছে, এসব পরিষ্কার ধারণা না থাকলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।

    এরপর একটি কার্যকর বাজেট তৈরি করা জরুরি। আয়ের উৎস ও খরচের খাতগুলো স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করতে হবে। বাধ্যতামূলক খরচের বাইরে কোথায় ব্যয় কমানো সম্ভব, তা নির্ধারণ করে সঞ্চিত অর্থকে ঋণ শোধে ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে উচ্চ সুদের ঋণগুলোকে আগে পরিশোধ করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এতে মোট সুদের বোঝা কমে এবং দ্রুত ঋণমুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

    প্রয়োজনে ঋণ একত্রীকরণের পথও বিবেচনা করা যেতে পারে। অনেক সময় একাধিক উচ্চ সুদের ঋণকে একত্র করে তুলনামূলক কম সুদের একটি নতুন ঋণে রূপান্তর করলে মাসিক কিস্তির চাপ হালকা হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে মোট পরিশোধের খরচ কমে আসে। একই সঙ্গে মাসিক কিস্তিতে ন্যূনতম পরিমাণের চেয়ে বেশি অর্থ প্রদান করার চেষ্টা করা উচিত, এতে ঋণ শোধের সময় ও সুদের খরচ উভয়ই কমে।

    যদি ঋণ পরিশোধে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়, তবে ঋণদাতাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে পুনর্বাসন চুক্তি বা বিকল্প পরিশোধ পরিকল্পনা পাওয়া যায়, যা ঋণগ্রহীতাকে চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে পারে। পাশাপাশি খরচের অভ্যাসে পরিবর্তন আনা অপরিহার্য। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনা গেলে সেই অর্থ ঋণ শোধের কাজে লাগানো সম্ভব।

    পরিশেষে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক উপদেষ্টারা ব্যক্তিগত পরিস্থিতি অনুযায়ী কার্যকর সমাধান প্রস্তাব করতে পারেন, যা ঋণচক্র থেকে দ্রুত বের হওয়ার পথ দেখাতে সাহায্য করে।
    বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় যেখানে সুদের হার ও জীবনযাত্রার খরচ উভয়ই বাড়ছে, সেখানে আর্থিক শৃঙ্খলা, সচেতন সিদ্ধান্ত এবং সঠিক পরামর্শই হতে পারে ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার মূল চাবিকাঠি।

    চড়া সুদে ধার নিয়ে পুরোনো ঋণ শোধ করার এই প্রবণতা আমাদের অর্থনীতিকে এক গভীর সংকটে ঠেলে দিচ্ছে। মূল ঋণ কমার পরিবর্তে সুদ আরোপের মাধ্যমে দায় আরও বাড়ছে, যা দেশকে একটি অদৃশ্য ঋণচক্রে আবদ্ধ করছে। এতে শুধু বৈদেশিক মুদ্রার চাপই বাড়ছে না, সরকারি বাজেটের ওপরও সৃষ্টি হচ্ছে অস্বাভাবিক চাপ, যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়; খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি, চিকিৎসা ও শিক্ষার খরচ পর্যন্ত সবকিছুর ওপর।

    এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এখনই প্রয়োজন সুদৃঢ় আর্থিক পরিকল্পনা, স্বচ্ছ নীতি প্রণয়ন এবং ঋণ ব্যবস্থাপনায় কঠোর শৃঙ্খলা। সস্তায় ঋণ সংগ্রহ, রপ্তানি আয়ের বহুমুখীকরণ, প্রবাসী আয় বাড়ানো এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ছাড়া বিকল্প নেই। একই সঙ্গে দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ না হলে ঋণের বোঝা শুধু আরো ভারীই হবে।

    অতএব, রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি টেকসই করতে হলে স্বল্পমেয়াদি ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল গ্রহণ করতে হবে। ঋণ যেন উন্নয়ন কার্যক্রমকে গতিশীল করে, কিন্তু আর্থিক দাসত্বে পরিণত না হয়, এমন নীতিগত দিকনির্দেশনা এখন সময়ের দাবি। নতুবা চড়া সুদের ফাঁদে পড়ে জাতির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও সংকুচিত হয়ে পড়বে।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    শৃঙ্খলা জোরদারে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য এনবিআর গড়ার উদ্যোগ

    September 21, 2025
    অর্থনীতি

    চুক্তি সংকটে মালয়েশিয়ার সম্ভাবনাময় বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ

    September 21, 2025
    অর্থনীতি

    দরপতনের মাঝেও শেয়ারবাজারে শীর্ষে এনভয় টেক্সটাইল

    September 21, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    টেকসই বিনিয়োগে শীর্ষে থাকতে চায় পূবালী ব্যাংক

    অর্থনীতি August 15, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.