চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো ফ্রান্সে যাচ্ছে বাঙালির মুখরোচক খাবার মুড়ি। ৪০ ফুট লম্বা একটি কনটেইনারে লোড করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কেজি মুড়ি, সঙ্গে রয়েছে আরও জনপ্রিয় শুকনো খাবার ও মসলা।
চালানে প্যাক করা হয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ কেজি চিনিগুঁড়া চাল, ১ হাজার কেজি শুকনো শিম, ১ হাজার কেজি শুকনো মরিচ, সঙ্গে গোটা ধনিয়া ও তেজপাতা। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই চালান ফ্রান্সে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
রপ্তানি কার্যক্রমটি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ওয়াক অ্যান্ড এসএ লিমিটেড। পতেঙ্গার বেসরকারি ইনকনট্রেড কনটেইনার ডিপো থেকে কনটেইনারে পণ্যগুলো লোড করে জাহাজে তোলা হয়। আধুনিক প্রযুক্তিতে লেবেলযুক্ত কার্টনে মুড়ি, চাল, শিম, মরিচ ও ধনিয়া প্যাকেজিং করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
স্পিড লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান মিন্টু বলেন, “ইউরোপে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্য ও কুটির শিল্পসামগ্রীর চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এসব খাদ্য রপ্তানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পণ্য রপ্তানির চেষ্টা করেছি।”
ওয়াক অ্যান্ড এসএ লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ হাসান মিয়া জানান, ফ্রান্সে শুকনো খাবার পাঠানো ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে মান বজায় রাখার কারণে ভবিষ্যতে নিয়মিত রপ্তানি কার্যক্রম চালু রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কার্যালয়ের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “শুকনো খাবারসহ নানা কৃষিপণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এটি যেমন প্রবাসীদের চাহিদা পূরণ করছে, তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।”