বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন আভিভা ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ঋণ ও আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে। কোম্পানিটি আভিভা ফাইন্যান্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ উঠেছে ঋণ ব্যবস্থাপনা, আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ পাচারের সম্ভাবনা নিয়ে।
বিনিয়োগকারীর স্বার্থ ও মূলধন বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কমিটির সদস্যরা হলেন পরিচালক মো. মনসুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক সুলতানা পারভীন এবং সহকারী পরিচালক মো. মারুফ হাসান। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাদের ৬০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
তদন্তে দেখা হবে—আভিভা ফাইন্যান্স আভিভা ইক্যুইটিকে মোট কত ঋণ দিয়েছে, ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সুদসহ কত টাকা বকেয়া রয়েছে এবং ঋণ পরিশোধ কতটা অগ্রসর হয়েছে। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে অন্য কোনো উৎস থেকে কোম্পানিটি ঋণ নিয়েছে কি না, ঋণের অর্থ কোথায় ব্যবহার হয়েছে এবং নিয়মকানুন মানা হয়েছে কি না। কমিটি আরও যাচাই করবে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে মার্জিন লোন দেওয়া হয়েছিল কি না এবং কোনো অংশ অর্থ পাচারে ব্যবহৃত হয়েছে কি না। দেরিতে ঋণ পরিশোধের কারণ ও পুরো ঋণ শোধ করার সক্ষমতাও পর্যালোচনায় থাকবে।
বিএসইসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রাথমিক অভিযোগ ও অনুসন্ধানের ভিত্তিতেই এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আভিভা ইক্যুইটি মূলত ব্রোকারেজ সেবা দেয় খুচরা, প্রাতিষ্ঠানিক, প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। তবে এর আগে একাধিকবার কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারিতে এসেছে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তাদের কনসোলিডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্টে (সিসিএ) ৩ কোটি ৬ লাখ টাকার ঘাটতি শনাক্ত করে। তদন্তে প্রমাণ মেলে যে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের অর্থ অপব্যবহার করেছে এবং ভুল তথ্য দিয়েছে ব্যালেন্সের বিষয়ে। পরের বছর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বোর্ড অব ডিরেক্টরস বাতিল হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়।

