ইরান সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বহমান চৌবিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। চৌবি ইসরাইলের গুপ্তচর হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছিলেন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ও টেলিযোগাযোগ প্রকল্পগুলোতে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করছিলেন। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে দেশটির প্রক্রিয়াগত নিয়মের মাধ্যমে, এবং এ ঘটনা ইরানের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সতর্কতার পরিচায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চৌবি একজন বিশেষজ্ঞ ডেটাবেজ সিস্টেমের অধিকারী ছিলেন। তিনি একটি জ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভান্ডার ও টেলিকম প্রকল্পে প্রবেশাধিকার পেয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির সব প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায়, দেশের সার্বভৌম ও সংবেদনশীল ডেটাবেসগুলোতে তার উচ্চস্তরের প্রবেশাধিকার ছিল। এই ক্ষমতার মাধ্যমে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করে আসছিলেন।
ইরানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চৌবির কর্মকাণ্ড দেশীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক ছিল। তার সহায়তায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিদেশে চলে গিয়েছিল, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। ইরান এই ঘটনায় নিজের গোয়েন্দা ও সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকর ভূমিকা প্রদর্শন করেছে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চৌবির ফাঁসির ঘটনায় ইরান প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা দেশের নিরাপত্তা ও সংবেদনশীল তথ্যের হেফাজত কঠোরভাবে রক্ষা করবে। একই সঙ্গে এটি অন্য কোনো সম্ভাব্য গুপ্তচরের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবেও কাজ করবে।