Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Tue, Oct 7, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বানিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • প্রযুক্তি
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শীর্ষ ২০ খেলাপির ঋণ আদায়ে লাগবে তিন শতাব্দী
    অর্থনীতি

    রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শীর্ষ ২০ খেলাপির ঋণ আদায়ে লাগবে তিন শতাব্দী

    কাজি হেলালOctober 7, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপির পকেটে দেশের ৩৮ হাজার কোটি টাকা
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হলো ব্যাংকিং খাত। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীর অগ্রযাত্রা সবকিছুর মূল চালিকাশক্তি এই ব্যাংকিং খাত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে এই খাত এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই সংকটের নাম খেলাপি ঋণ। আর খেলাপি ঋণের সবচেয়ে বড় বোঝা গড়ে উঠেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি ব্যাংকে, যেখানে মাত্র শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি-ই ধরে রেখেছে মোট খেলাপি ঋণের অর্ধেকের বেশি।

    অর্থাৎ পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থার স্বাস্থ্য এখন নির্ভর করছে মাত্র অল্প কয়েকজন প্রভাবশালী ঋণগ্রহীতার ওপর, যারা ঋণ নিলেও তা ফেরত দিতে অনিচ্ছুক বা অক্ষম। এই কারণে শুধু ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতাই নয়, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

    খেলাপি ঋণের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের প্রবণতা নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পরপরই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়া বিপুল পরিমাণ ঋণ বিতরণ শুরু হয়। ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রকৃত খাতে ব্যবহার না করে অন্য খাতে বিনিয়োগ করেছেন কিংবা বিদেশে পাচার করেছেন। ১৯৮০-এর দশকে ব্যাংকিং খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ঋণ আদায় প্রক্রিয়া দুর্বল রয়ে যায়। আদালতে মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে, ব্যাংকের অভ্যন্তরে জবাবদিহির অভাব থাকে এবং রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা ঋণ খেলাপ করেও পার পেয়ে যায়।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ (২০২৫) প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের জুনে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা এই বছরের জুন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭ কোটি টাকা। যা বিতরণ করা মোট ঋণের ২৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের বিতরণ করা মোট ঋণের প্রায় চার ভাগের এক ভাগের বেশিই ইতিমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে। গত মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। তখন খেলাপি ঋণের হার ছিল ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

    যা সেপ্টেম্বর শেষে সম্প্রতি প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, জুন-২০২৫ শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। যা বিতরণ করা ঋণের ৩৩ শতাংশ। বর্তমানে ব্যাংক খাতে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি ৩ হাজার ৪৮৩ জন। প্রথমবারের মতো এই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খেলাপি ঋণ শুধু অর্থনীতির জন্য নয়, বরং ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থার জন্যও এক মারাত্মক হুমকি। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে ব্যাংক খাতে আরও ধস নামবে।

    বর্তমানে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৪৯ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ছয় ব্যাংকের ১২০ জন শীর্ষস্থানীয় খেলাপি গ্রাহকের (প্রতিটি ব্যাংকের ২০ জন করে) কাছে আটকা ৮৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংক হলো সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল।

    এই ছয় ব্যাংক ২০২৫ সালে অন্তত ৮ হাজার ৭৭ কোটি টাকা আদায় করবে বলে ঠিক করেছিল। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে তারা শীর্ষস্থানীয় ১২০ খেলাপি গ্রাহকের কাছ থেকে ১২৮ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ আদায় করেছে। বাৎসরিক পুনরুদ্ধার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। এই তথ্য প্রমাণ করে যে শীর্ষ খেলাপিদের কাছে আটকে থাকা ঋণ পুনরুদ্ধার কার্যত স্থবির। এই হারে টাকা আদায় চলতে থাকলে ছয় ব্যাংকের শীর্ষ-২০ ঋণখেলাপির কাছ থেকে টাকা আদায় হতে সময় লাগবে ৩৩৩ বছর।

    রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৬ ব্যাংকের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে ডেকেছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ঢাকায় সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বৈঠকে ব্যাংকগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

    অর্থ উপদেষ্টাকে বৈঠকে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শীর্ষ ২০ খেলাপি গ্রাহকের কাছে ৬ ব্যাংকের যে ৮৫ হাজার ৪৪৪ কোটি পাওনা, তা এসব ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের ৫৭ শতাংশ। আবার মোট ৮৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকার ৬৩ শতাংশ অর্থাৎ ৫৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা রয়েছে এক জনতা ব্যাংকের শীর্ষ ২০ গ্রাহকের কাছেই। বাছবিচারহীনভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ দেওয়ার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যে বেক্সিমকো, এস আলম ও অ্যাননটেক্স এই তিন গ্রাহকের কাছেই আটকা ৪০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। শীর্ষ খেলাপিদের থেকে চলতি ২০২৫ সালে জনতা ব্যাংক আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল ৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটি আদায় করেছে ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।

    জনতা ব্যাংকের এমডি মজিবুর রহমান বলেন, ‘খেলাপি গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় ছাড়া অন্য সূচকগুলোর উন্নতি হচ্ছে। যেমন: আমানত বেড়ে এখন ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। প্রবাসী আয়ও ভালো আসছে। অবলোপন থেকেও সবার থেকে বেশি আদায় আমাদের।’ শীর্ষ খেলাপিদের থেকে আদায় বেশি না হওয়ার কারণ হিসেবে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আগের ভুল তো আছেই। তবে আদায়ের জন্য মামলা করেছি। মামলার বিপরীতে গ্রাহকদের পক্ষে রিট হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই রিট খারিজের চেষ্টা চলছে।’

    শীর্ষ ২০ খেলাপির কাছ থেকে অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা ১১ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮৯২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ব্যাংকটি আদায় করেছে মাত্র ১৯ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অন্যদের তুলনায় বেশি আদায় করেছে রূপালী ব্যাংক। শীর্ষ ২০ খেলাপি গ্রাহকের কাছে রূপালী ব্যাংকের পাওনা ১০ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে চলতি বছর ১ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ব্যাংকটি আদায় করেছে ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

    বড় চার ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের আদায় সবচেয়ে কম অর্থাৎ ৫০ লাখ টাকা। এই ব্যাংক শীর্ষ ২০ গ্রাহকের কাছে পায় ৬ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। ব্যাংকটি এক বছরে ৩০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও ছয় মাসে ৫০ লাখ টাকার বেশি আদায় করতে পারেনি। এছাড়া বেসিক ব্যাংক শীর্ষ ২০ গ্রাহকের কাছে পাওনা ২ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকার মধ্যে এক বছরে ৪০০ কোটি টাকা আদায় করবে বলেছিল। ব্যাংকটি ছয় মাসে আদায় করেছে ১০ লাখ টাকা। আর বিডিবিএল ৫০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা।

    খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে ব্যর্থতার মূল কারণ: রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাব ও দুর্বল গভর্ন্যান্স একটি প্রধান কারণ।রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা যথাযথ যাচাই ছাড়াই ঋণ নিয়েছেন। অনেক প্রকল্প কাগজে-কলমে রয়েছে, বাস্তবে নেই। আদালতের ধীর প্রক্রিয়া আরেকটি প্রধান কারণ।
    হাজার হাজার মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে।
    শীর্ষ খেলাপিদের অনেকেই উচ্চ আদালতে রিট করে প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছেন। তাছাড়া রয়েছে অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা। ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা দুর্বল। অডিট আপত্তি বছরের পর বছর নিষ্পত্তিহীন। প্রভাবশালী ঋণগ্রহীতার শক্তি প্রদর্শন। অনেক ঋণগ্রহীতা বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। অনেকে প্রায় ‘অদৃশ্য’ হয়ে গেছেন, ফলে ট্রেস করা যায় না।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন পদক্ষেপ: অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ খেলাপি ঋণ মোকাবেলায় একটি বিশেষ রোডম্যাপ নিয়েছে। যেমন:

    • শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির নাম প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে যেমন: ঋণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ বাজেয়াপ্ত, ডিজিটাল নিলাম।
    • সরকারি টেন্ডার ও সুবিধা নিষিদ্ধ – খেলাপিরা সরকারি কন্ট্রাক্টে অংশ নিতে পারবে না।
    • বিশেষ লোন রিকভারি ট্রাইব্যুনাল – ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির পরিকল্পনা।
    • বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR) – মাঝারি খেলাপিদের জন্য সালিসি ও মধ্যস্থতা।
    • অডিট কমপ্লায়েন্স সেল – অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
    • বোর্ড ও ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত জবাবদিহি – নতুন জবাবদিহি নীতি।
    • অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (AMC) – খেলাপি ঋণ আলাদা করে পেশাদারভাবে ব্যবস্থাপনা।

    আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা- ভারত: ২০০২ সালে SARFAESI Act চালু করে। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো খেলাপিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে বিক্রি করতে পারে।

    এছাড়া Insolvency and Bankruptcy Code (IBC) চালুর ফলে অনেক বড় খেলাপি ঋণ নিষ্পত্তি হয়েছে। শ্রীলঙ্কা: সালিসি ও মধ্যস্থতার মাধ্যমে খেলাপি ঋণ দ্রুত নিষ্পত্তি করেছে। ভিয়েতনাম: রাষ্ট্রায়ত্ত “Vietnam Asset Management Company” গঠন করে ব্যাংকের খারাপ ঋণ আলাদা করেছে। চীন: রাষ্ট্রায়ত্ত ‘Bad Bank’ তৈরি করে খেলাপি ঋণ আলাদা করে এবং পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। বাংলাদেশও চাইলে এই মডেলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

    সম্ভাব্য সমাধান ও সুপারিশ সমূহ-

    • শীর্ষ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ যেমন: নাম প্রকাশ, সম্পদ বাজেয়াপ্ত, বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা।
    • রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা: নিয়োগ, ঋণ অনুমোদন ও পরিচালনা পরিষদে রাজনৈতিক প্রভাব কমাতে হবে।
    • বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কার্যকর করা: ৬-১২ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক করতে হবে।
    • অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গঠন: খারাপ ঋণ আলাদা করে পেশাদারদের দ্বারা পরিচালনা করতে হবে।
    • প্রযুক্তি ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি: ডিজিটাল নিলাম, রিয়েল-টাইম মনিটরিং, অনলাইন ঋণ ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করতে হবে।
    • ব্যাংক পুনঃমূলধনীকরণে শর্ত আরোপ:পুনঃমূলধনীকরণের আগে প্রতিটি ব্যাংককে নির্দিষ্ট পুনরুদ্ধার টার্গেট অর্জন করতে হবে।

    বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত এখন এক সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিটি ব্যাংকের মাত্র ২০ ঋণখেলাপির কাছে আটকে আছে হাজার হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকগুলো আজ দেউলিয়ার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। সরকার নতুন কৌশল নিয়েছে বটে, কিন্তু তা কতটা কার্যকর হবে সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে ব্যাংকিং খাতের ওপর মানুষের আস্থা ভেঙে পড়বে, বিনিয়োগ কমে যাবে, অর্থনীতি থমকে যাবে। আর যদি দৃঢ় নেতৃত্ব, কঠোর আইন প্রয়োগ এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়, তাহলেই সম্ভব হবে খেলাপি ঋণের দুষ্টচক্র ভাঙা এবং একটি টেকসই ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    সৌদি প্রবাসীদের রেমিট্যান্স খরচ বেশি, কমানো সম্ভব

    October 7, 2025
    অর্থনীতি

    ১০৪৪ কোটি টাকার নতুন চুক্তিতে আসছে গম ও ভারতীয় চাল

    October 7, 2025
    অর্থনীতি

    নতুন বিনিয়োগ কমলেও মুনাফার পুনঃবিনিয়োগে এফডিআই বেড়েছে

    October 7, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    টেকসই বিনিয়োগে শীর্ষে থাকতে চায় পূবালী ব্যাংক

    অর্থনীতি August 15, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.